‘আসুন সংলাপে বসি’

‘আসুন সংলাপে বসি’

fakসরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দুই নেত্রীর ফোনালাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আসুন সংলাপে বসি। কিন্তু সংলাপ হতে হবে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। তাহলেই বিএনপি যেকোন সময় যেকোন স্থানে আলোচনা ও সমঝোতার জন্য প্রস্তুত আছে।”

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সময় নষ্ট না করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ব্যাপারে আলোচনার ব্যবস্থা করুন, নয়তো বিএনপি রাজপথে এর সমাধান দিবে।”

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকারকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এতে মনে হচ্ছে সরকার সংলাপ চায় না সংঘাত চায়।”

জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তাই আর আপনারা ঘরে বসে থাকবেন না, আসুন আমরা একত্রিত হয়ে সরকার পতনের গণআন্দোলন গড়ে তুলি। অন্যথায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।”

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা জানি না রায়ে কি হবে। তবে সরকারের নির্দেশে আদালত রায় দেবেন। তবে সেই রায় বিএনপি ও দেশের জনগণ প্রত্যাখান করবেন।”

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, “মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে বিএনপির আন্দোলন দমন করা যাবে না। যতো মামলা ও গ্রেপ্তার করা হবে বিএনপির আন্দোলন ততো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।”

বিএনপির ৮৪ ঘণ্টার হরতালের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “বিএনপির হরতাল সফল হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণ বিএনপির হরতাল ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে ইতোমধ্যে সরকারকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।”

‘দেশের উন্নয়নে বিএনপির কোনো অংশগ্রহণ নেই’ সরকারের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “যদি আপনার সরকার দেশের উন্নয়ন করে থাকে তবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। দেখেন আপনারা জয় আনতে পারেন কিনা।”

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মহীলা দলের সাধারন সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম আজাদ

বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর