আর দেখা যাবে না শচীনকে!

আর দেখা যাবে না শচীনকে!

sescসমাপ্তি ঘটলো এক বর্ণাঢ্য ক্রিকেট- কাব্যের। যে কাব্যের রচয়িতা ছিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। যার পরিচয় দিতে শুধুমাত্র তার নামটাই যথেষ্ট! নিজের ২০০তম টেস্ট খেলে ক্রিকেটকে ‘গুড বাই’ বলে দিলেন এই ব্যাটিং-বিস্ময়।

শচীনের বিদায়ী আয়োজনে কোনো কমতি করেনি ভারত। প্রথম পর্বে তাকে নিয়ে যতোটা সম্ভব মাতামাতি করেছিলো কলকাতা। দ্বিতীয় পর্বে সে মাতামাতি অব্যাহত ছিলো শচীনের জন্ম শহর মুম্বাইতেও। ফুলে ফুলে ভরে দেওয়া হয়েছিলো শেষ ম্যাচের ভেন্যু ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।

কিন্তু তারপরও কেমন যেনো রঙহীন রইলো শচীনের ফেরাটা। ভক্তদের প্রত্যাশা ছিলো- দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শচীনকে চারবার ব্যাট হাতে দেখতে পারবে তারা। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরো দুর্বল ক্রিকেটে তা আর হলো না। মাত্র দুইবার শচীনের হাতে ব্যাট দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ভক্তদের।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে কলকাতায় মাত্র দশ রান করতে পেরেছিলেন শচীন। দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বাইতে তিনি করলেন ৭৪ রান। এই হাফ সেঞ্চুরিটাই শেষ পর্যন্ত শচীনের শেষ ইনিংস হয়ে রইলো। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে গেছে ইনিংস ব্যবধানে। তাতে সহজে ম্যাচ জিতে গেছে ভারত, কিন্তু কিছুটা রঙ ঠিকই হারিয়েছে শচীনের বিদায়ী আয়োজন।

ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ক্যারিবীয়রা। মাত্র ১৮২ রানে ধসে পড়ে তাদের প্রথম ইনিংসের লড়াই। পাঁচটি উইকেট নেন প্রজ্ঞান ওঝা। এছাড়া তিনটি উইকেট নেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৯৫ রান করে ভারত।

টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা। সেঞ্চুরি তুলে নেন চেতেশ্বর পূজারাও। দু’টি হাফ সেঞ্চুরি আসে শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি উইকেট নেন শেন শিলিংফোর্ড।

৪৯৫ রানের পাহাড়ে ৩১৩ রানের লিড পায় ভারত। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এতেই মৃত্যু ঘটে শচীন-ভক্তদের প্রত্যাশার। ৭৪ রানের ইনিংসটিই হয়ে যায় ভক্তদের প্রতি শচীনের বিদায়ী উপহার।

দ্বিতীয় ম্যাচে সেরার পুরস্কার পান উভয় ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট শিকার করা প্রজ্ঞান ওঝা। সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই দারুণ দু’টি সেঞ্চুরি করা রোহিত শর্মা।

খেলাধূলা