প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “বিএনপি আর কোনো বৈধ রাজনৈতিক দল নয়। তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বসহ সবাই যারা এই সন্ত্রাসী হামলার হুকুম দেয় এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থের জোগান দেয় তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া উচিৎ।”
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা জয় তার অফিসাল ফেসবুক পেজে এক স্টাটাসে এ কথা বলেন।
স্টাটাসে তিনি আরো বলেন, “বিএনপির অগ্নিসংযোগ হামলার শিকার মানুষদের সাক্ষাতের জন্য আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এটা ছিলো এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। অধিকাংশ নিরপরাধ মানুষকে তারা এমনভাবে পুড়িয়েছে যে সনাক্ত করা যায় না । নিষ্পাপ শিশুদের যেভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তা দেখে আমি অসম্ভব রাগান্বিত হই, বিশেষ করে একটা ছোট মেয়ের পুড়ে যাওয়া দেখে যে কিনা আমার মেয়ের চেয়ে বছর খানিকের বড় হবে।”
সজীব ওয়াজেদ জয়ের পুরো স্টাটাসটি পরিবর্তন -এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-
“I visited the burn unit at Dhaka Medical College Hospital to see the victims of the BNP’s arson attacks. It was absolutely horrific. Most of these innocent people have been burnt beyond recognition. Seeing the innocent children who were burnt, including a little girl only a year older than my daughter, made me unbelievably angry. The people who did this are inhuman.
While I was there, we received news that a moving bus full of passengers was set on fire. Two BNP terrorists were on it and kept changing seats, as if they were looking for better seats. While doing this they were spreading gunpowder on the floor. Once the bus was up to speed they set it alight and jumped off. In another incident, a child was asleep in the bus while they poured petrol and set it on fire, burning the child. There have been many such incidents in the past two weeks. Only monsters are capable of such heinous acts. This is terrorism.
The BNP is no longer a legitimate political party. They are a terrorist organization. All those responsible, including the very top leaders who ordered and financed these attacks, should be brought to justice and given the maximum punishment.
বিএনপির অগ্নিসংযোগ হামলার শিকার মানুষদের সাক্ষাতের জন্য আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এটা ছিলো এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। অধিকাংশ নিরপরাধ মানুষকে তারা এমনভাবে পুড়িয়েছে যে সনাক্ত করা যায় না । নিষ্পাপ শিশুদের যেভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তা দেখে আমি অসম্ভব রাগান্বিত হই, বিশেষ করে একটা ছোট মেয়ের পুড়ে যাওয়া দেখে যে কিনা আমার মেয়ের চেয়ে বছর খানিকের বড় হবে।
আমি যখন সেখানে ছিলাম, তখন আমরা খবর পেলাম একটা যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিলো। দুই বিএনপির সন্ত্রাসী ঐ বাসে ছিলো এবং তারা বসার স্থান পরিবর্তন করছিলো, দেখে মনে হবে যে তারা কোন ভালো সিটের সন্ধানে ছিলো। আসলে এসময় তারা আসলে বাসের মেঝেতে গান পাউডার ছড়াচ্ছিলো। বাস যখন দ্রুত চলতে শুরু করলো তখন তারা তা জ্বালিয়ে দিলো এবং ঝাঁপ দিয়ে নেমে পড়লো। অন্য আরেকটি ঘটনায়, একটি শিশু একটা বাসে ঘুমিয়ে পড়েছিলো, এমন সময় ঐ সন্ত্রাসীরা পেট্রোল ঢেলে তাতে অগ্নিসংযোগ করলে যাতে শিশুটিও দগ্ধ হলো। এমন বহু ঘটনা গত দুই সপ্তাহে ঘটেছে। শুধুমাত্র দানবেরাই এই জঘন্য কাজ করতে সক্ষম। এটা সন্ত্রাসবাদ ।
বিএনপি আর কোনও বৈধ রাজনৈতিক দল নয়। তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের শীর্ষ নেত্রীত্বসহ সবাই যারা এই সন্ত্রাসী হামলার হুকুম দেয় এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থের জোগান দেয় তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া উচিৎ