1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন

জাতিসংঘে ‘রাষ্ট্র’ মর্যাদা পেল ফিলিস্তিন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২
  • ৯৪ Time View

ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবির প্রতি বিপুল সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছে সদস্য দেশগুলো।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ‘জন্ম সনদের’ এই দাবির বিষয়ে ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩৮টি সদস্য দেশ। ১৯৩ দেশের এই সংঘের মাত্র নয়টি ফিলিস্তিনিদের দাবির বিরোধিতা করে, যার মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।

এই ভোটাভুটিতে ৪১টি সদস্য দেশে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। ফিলিস্তিনিদের দাবির প্রতি এই বিপুল সমর্থনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘কূটনৈতিক পরাজয়’ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিন এতোদিন এই বিশ্ব ফোরামের অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ পেত ‘পর্যবেক্ষক অঞ্চল’ হিসাবে। এখনই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে না পারলেও ‘রাষ্ট্র’ স্বীকৃতি পাওয়ার খবরে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় চার রঙা পতাকা হাতে উল্লাসে মেতে ওঠে দীর্ঘদিন ধরে সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদার দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা।

ঠিক এ সময়ই তাদের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সাধারণ পরিষদে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ভোটই ছিল বিশ্বের সামনে ‘শেষ সুযোগ’।

ভোটাভুটির পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে। আর ইসরায়েলের রয়েছে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার।

“এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় শান্তি আলোচনা আবারো শুরু করার বিষয়টি গুরুত্ব পেল।”

অবশ্য জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন প্রসর বলেছেন, এতে শান্তির সম্ভাবনা আরো পিছিয়ে যাবে।

আর ইসরায়েলের সবচে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এই ভোটাভুটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসাবে উল্রেখ করেছেন।

ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম মিলিয়ে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসাবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি চায়। আর এর বিরোধিরা চায় কেবলমাত্র ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মধ্য দিয়েই বিষয়টির সমাধান হোক।

ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ফিলিস্তিন ১৯৯৩ সালের অসলো শান্তিচুক্তির আওতায় আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের পথে না গিয়ে জাতিসংঘের মধ্য দিয়ে তা অর্জনের চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘে ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ স্বীকৃতি পাওয়ায় আগামীতে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত বছর সদস্যপদ পাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার তারা জাতিসংঘের ‘পর্যবেক্ষক অঞ্চল’ এর বদলে ভ্যাটিকানের মতো ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ স্বীকৃতি চায়।

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) বলছে, বর্তমানে ১৩০টির বেশি দেশ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ