গ্রামের মানুষ মোবাইল ও ইন্টারনেটে অভ্যস্থ হয়েছে: এইচ টি ইমাম

গ্রামের মানুষ মোবাইল ও ইন্টারনেটে অভ্যস্থ হয়েছে: এইচ টি ইমাম

প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন গ্রামীণ অর্থনীতি কেন্দ্রিক দেশ । সবাই যেন ঢাকায় না আসে এজন্য তিনি সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শাখা গ্রামে উদ্বোধন করেছিলেন। তাই গ্রামে উন্নয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে আশার কথা, গ্রামের মানুষ মোবাইল ও ইন্টারনেটে অভ্যস্থ হয়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে।

বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমাদের সংবিধানে বাসস্থানের কথা বলা হয়েছে। এখন ঢাকার এই আবাসন সমস্যা সমাধানে ঢাকার বাইরে স্যাটেলাইট সিটি করে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন যদি নিম্ন আয়ের মানুষ ও গ্রামীণ আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দেয় তাহলে সরকার বিবেচনা করবে।আর শুধু ঢাকাতেই বহুতল ভবন করলে হবে না, গ্রামেও এ ধরনের বড় ভবন বানাতে হবে। গ্রামে জমির অপচয় কমাতে হবে।”

শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (বিএইচবিএফসি) প্রধান কর‌্যালয়ে জোনাল ও রিজিওনাল ম্যানেজার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের ঋণের পরিমান খুব কম যা দিয়ে পুরো কাজ হয় না। তবে এখন তরুণ প্রজন্ম আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রযুক্তিতে দক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হবে।”

উপদেষ্টা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার ধারাবাহিকতায় এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে। গ্রামেও এখন কম্পিউটার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেটে কেনাকাটা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। তবে দেশের সার্বিক উন্নয়ণের জন্য গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো আরও উন্নয়ন করতে হবে।”

বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নূরুল আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন আলী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জোনাল অফিস ও রিজিওনাল অফিসকে দক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

আয়োজকদের পক্ষে জানানো হয়, “আমরা অনাইনে সবকিছু আপডেট করছি। আমাদের বিভিন্ন ব্রাঞ্চের কাজ যেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হয় আমরা সে ব্যপারে চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করছি। আমরা স্বচ্ছতা ও জববিদিহিতার জন্য একটি ত্রৈমাসিক বুলেটিন বের করছি। আমরা ওয়ানস্টপ সেন্টারও চালু করছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই ঋণ দেবার প্রক্রিয়া শুরু করছি।”

আরও বলা হয়, “আমরা সব জেলায় ক্রমান্বয়ে অফিস খুলবো। এখন গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে খোলা হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয়ের অধীন আবাসন প্রকল্পের বিশেষ তহবিল থেকে ২শ’ কোটি টাকা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছি।”

বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলী বলেন, “১৯৫২ সালে বিএইচবিএফসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সরকারের বিভিন্ন কর্পোরেশন কোনটি ব্যাংক বা বড় হয়েছে।যদিও আবাসন মৌলিক প্রয়োজনের একটি। এখন আবাসনের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে এই সেক্টরে সরকার বিশেষ নজর দিতে পারে। এটা সময়ের প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “সংবিধানে মানুষকে আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা আছে। মানুষ এখন আর কাঁচা ঘরে থাকতে চায় না। তাই আবাসন শিল্পে সরকারের বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিতে হবে। আবাদী জমি কমছে, তাই বড় ধরনের বিল্ডিং করে বহুতল ভবন করলে জমির অপব্যবহার কমবে। একসময় গ্রামের মানুষও ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করবে।”

অর্থ বাণিজ্য