৪০তম পর্বে ‘ইয়ামাহা পথে যেতে যেতে’

৪০তম পর্বে ‘ইয়ামাহা পথে যেতে যেতে’

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা কাটলেই ইচ্ছে জাগে দূরে কোথাও ঘুরে আসার। অর্থাৎ ভ্রমণের। আর ভ্রমণের পরিধি যত বাড়ে, মনের পরিধি ও জ্ঞানের পরিধি সেই সাথে বাড়তে থাকে।

অচেনা অজানা জায়গায় বেড়াতে গেলে এমনিতেই একটা মমতাবোধ মনে জন্ম নেয়। সেই ভ্রমণটা যদি হয় কোনো বন্ধুর বাইকে করে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এমনই এক বাইক জুটি নীল ও স্বপ্না।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলই আকর্ষণীয়। সেই আকর্ষণীয় সব জায়গার সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেবার জন্য তাদের এ যাত্রা। ভৌগলিক দিক থেকে ছোট এই দেশের সর্বত্রই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক নির্দশনের মেলাবন্ধন ঘটিয়েছে ওয়ালিদ হাসানের প্রযোজনায় দেশ টিভির ট্রাভেল শো ‘ইয়ামাহা পথে যেতে যেতে’ অনুষ্ঠানটি।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রয়েলবেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবন, সিলেটের দীর্ঘতম চা বাগান জাফলং, মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড, জলপ্রপাত, পাবর্ত্য চট্রগ্রামের কাপ্তাই হ্রদ, বঙ্গপোসাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের সুউচ্চ পাহাড় আমাদের দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। কুমিল্লা, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, জয়পুরহাট, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও বাগেরহাটের প্রত্মসম্পদও অতুলনীয়। নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকায় দেখা যায় শ্যামল বাংলার রূপ লাবণ্য। এছাড়াও নদীপ্রধান বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের সৌন্দর্য অতুলনীয়। এসব জায়গায় প্রতি মাসে ১০ দিনের জন্য বেরিয়ে পড়ে দেশটিভির এক টিম। আর প্রতি পর্বে বিভিন্ন জায়গার নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক নির্দশনের গল্প তুলে ধরে এ অনুষ্ঠানে।

এ অনুষ্ঠানটির প্রযোজক ও পরিচালক ওয়ালিদ হাসান এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমি বাংলার হাট-বাজার, মেলা, উৎসব এবং গ্রামীণ জনপদের সহজ সরল জীবনযাত্রা ও ভ্রমণপিপাসু মানুষের মনের তৃষ্ণা মেটাতে চাই। এ অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনাটা একটু আলাদা। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে বাইকে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলা-বিভাগীয় শহরের দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ায়। তাদের পরিচয় তারা বন্ধু, ঘর থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন এলাকার নানা তথ্যের পাশাপাশি স্থানটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নির্দশন তুলে ধরেন তারা। পাশাপাশি সেখানকার মানুষদের সাথে কথা বলা ও নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।”

বর্তমানে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করছেন নীল ও স্বপ্না। নীল এ অনুষ্ঠানের শুরু থেকে উপস্থাপনা করছেন। এ অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা নিয়ে নীল বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা দর্শকদের বাংলাদেশের বিভিন্ন

সৌন্দর্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর এটা উপস্থাপন করাটা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জের। কারণ অনেক বিপদজনক জায়গা দিয়ে আমাকে চলতে হয়েছে। আর সেই সাথে টানা বাইক চালিয়েছি। তবে এ কাজটি করে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর বাংলাদেশকে নতুনভাবে চিনেছি।”

অন্য উপস্থাপিকা স্বপ্না বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে ঘরকুনে ছিলাম। এ অনুষ্ঠানে কাজ করতে পেরে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনতে পেরেছি। আমার টিমের সবার সহযোগিতায় বিভিন্ন দুঃসাহসিক জায়গায় যাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আর দর্শকদেরও ভালো রেসপন্স পাচ্ছি।”

এ পর্যন্ত দেশের ৩৮টি জেলায় ভ্রমণ সম্পন্ন হয়েছে তাদের। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আবার বেরিয়ে পড়ছেন বাংলাদেশের নতুন কোনো জায়গায়। ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে এ অনুষ্ঠানটির ৪০তম পর্ব প্রচারিত হবে।

বিনোদন