মুম্বাই হামলায় জড়িত ‘ডাবল এজেন্ট’

মুম্বাই হামলায় জড়িত ‘ডাবল এজেন্ট’

siegeমুম্বাই ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলা এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় অনেক ভারতীয়কে। এবার সেই সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে নতুন বোমা ফাঁটানো তথ্য দল ব্রিটিশ দুই সাংবাদিকের লেখা এক বই।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কোন বিশ্বাসঘাতক সন্ত্রাসীদের উপকূলে নৌকা ভেড়ানোর জায়গা চিনিয়ে দিতে সাহায্য করেছিল।সেই ব্যক্তির কোড ‘হানি বি’ নামে পরিচিত বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আদ্রিয়ান লেভি ও ক্যাথি ক্লার্কের লেখা ‘দ্য সিজ’ বইয়ে তারা দাবি করেন যে ডেভিড হেডলি নামক একজন মার্কিন ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছিলেন।তার বক্তব্য অনুসারেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।

দীর্ঘ দুই বছর ধরে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দা কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছিলেন হেডলি। হেডলিকে আইএসআই-এর মেজর ইকবাল ভারতের বেশকিছু গোপন নথি ও তথ্যের কথা জানিয়েছেলেন। যার যোগাড় হয়েছিল এক ডাবল এজেন্টের মাধ্যমে।

ডাবল এজেন্ট হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে একইসাথে দু’টি গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত থাকে। নিজের সুবিধার জন্য এক সংস্থার তথ্য অন্য সংস্থার হাতে তুলে দেয়।

অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করতে দুর্বলতার খোঁজে অনেক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এমন চরিত্রের লোকজনকে কিনে নেয় বিরোধী সংস্থাগুলো।

বইটিতে ঠিক এমনই এক বিশ্বাসঘাতক এজেন্টের কথা বলা হয়েছে।যার সাহায্যে মুম্বাইয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাটি হয়েছিল।

দিল্লিতে কর্মরত এই এজেন্টের কোন নির্দিষ্ট পরিচয় না থাকলেও বইটিতে তাকে ‘হানি বি’ আমে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ, দক্ষতা থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ে নিরাপদে নৌকা ভিড়ানোর স্থান। সব তথ্যই সরবরাহ করেছিল হানি বি। এমনকি পুলিশ কয়বার টহল দেয় ও কোন পথ নিরাপদ হবে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছিল

এসব তথ্য নিয়ে ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডে ও গোয়েন্দা প্রধান পিসি হালদার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তারা জানিয়েছেন যে বইটি তাদের এখনও পড়া হয়নি।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন সন্ত্রাসী একটি দল মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। শহরজুড়ে সেদিন নিহত হন ১৬৬ জন।

 

আন্তর্জাতিক