সাড়ে ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডে ইরানের সামরিক মহড়া

সাড়ে ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডে ইরানের সামরিক মহড়া

ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামী রেভলিউশনারী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) যৌথ মহড়ার তৃতীয় দিনে স্থানীয়ভাবে তৈরি এবং অতি উন্নতমানের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়। তেহরান টাইমসের খবরে একথা বলা হয়েছে।

পূর্বাঞ্চলীয় ইরানে সাড়ে ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখন্ড জুড়ে ‘ডিফেন্ডার অব দ্য স্কাই অব ভিলায়েত-৪’ সাংকেতিক নামে চার দিনব্যাপী এ মহড়ায় ৮ হাজার ইরানি সৈন্য অংশগ্রহণ করেছে। রাশিয়ায় নির্মিত এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ইরানি সংস্করণ চালকবিহীন নকল শত্রু গোয়েন্দা বিমান লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। খাতামুন আম্বিয়া বিমান ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফারজাদ ইসমাইলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বহু উঁচু দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এই এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র কৌশলগত জঙ্গিবিমান ও আধা-ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘায়েল করার জন্য নবায়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন টার্গেটে গোলাবর্ষণে একটি স্থানীয় সিস্টেম হিসাবে দেশের সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে।

তিনি আরো ঘোষণা করেন, মহড়াকালে রাশাদ-৩২ স্মার্ট মনিটরিং ব্যবস্থা উদ্বোধন করা হবে। দেশের স্পর্শকাতর স্থাপনা এবং পরমাণু প্রকল্প রক্ষায় রাশাদ-৩২ স্মার্ট মনিটরিং সিস্টেম কাজে লাগানো হবে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষজ্ঞগণ সাঈদ-৪০ নামে একটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমানের নকশা প্রণয়ন করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপকভাবে এ বিমান নির্মাণ করা হবে।

আন্তর্জাতিক