ইয়েমেনের মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

ইয়েমেনের মার্কিন দূতাবাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ ইয়েমেনি প্রতিবাদকারীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ইসলাম বিরোধী প্রচারণা সম্বলিত একটি চলচ্চিত্রে ইসলাম ধর্মকে অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ প্রতিবাদকারীরা এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ‘ইনোসেন্স ইন মুসলিম’ নামের ওই চলচ্চিত্রে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ব্যঙ্গ করার পাশাপাশি ইসলাম বিরোধী বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি ইউটিউবে আরবি অনুবাদসহ চলচ্চিত্রটি ছড়িয়ে পরার পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্ব।

বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর আগে গত বুধবার লিবিয়া এবং কায়রোর মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ প্রতিবাদকারীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একদল কয়েকহাজার প্রতিবাদকারী লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজী শহরে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে এতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় কনস্যুলেট ভবনে অবস্থানকারী লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস ও অপর তিন দূতাবাস কর্মী নিহত হন।

এছাড়া মিশরের রাজধানী কায়রোর মার্কিন দূতাবাসেও হামলা চালায় বিক্ষুদ্ধ মিশরীয়রা। কায়রোতে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস প্রাঙ্গন ভাংচুরের পাশাপাশি ১১ সেপ্টেম্বর উপলক্ষ্যে দূতাবাসে অর্ধনমিত রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা নামিয়ে এতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখানে কালো রংয়ের পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সানার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া দূতাবাস থেকে পতাকা নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান ফটকে ভাংচুর চালায় তারা।

এদিকে লিবিয়ায় রাষ্ট্রদূত নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত কিনা তা তদন্ত করে দেখবে তারা। চরমপন্থি জিহাদি গ্রুপগুলো পূর্বপরিকল্পিতভাবে দূতাবাসে হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিক