তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন ফখরুল

তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন ফখরুল

লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার গুঞ্জনকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

হাইকোর্ট রোববার তার বিদেশ যাওয়া-আসায় বাধা না দেওয়ার নির্দেশ জারি করার পর এ বিষয়ে বাংলানিউজের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সংক্রান্ত গুঞ্জনকে স্রেফ “গুজব“ বলে উড়িয়ে দেন।

ফখরুল বলেন, ‘‘এসব উইশফুল থিংকিং, ভিত্তিহীন গুজব ছাড়া কিছুই নয়। দেশ ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না আমি। তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার বিষয়টিও তাই একদমই অবান্তর।’’

যদিও রোববার সকালে তার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালত প্রাঙ্গণে স্পষ্টভাবেই জানান, আগামী ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন মির্জা ফখরুল। সেখান থেকে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবেন তিনি।

পরে অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহবুব হোসেন এবং অ্যাডভোকেট ছানাউল্লাহ মিয়াও জানান, হাইকোর্টের এ নির্দেশের ফলে মির্জা ফখরুলের ২৯ আগস্টের বিদেশ গমনে বা সেখানে অবস্থানের সময়সীমার ব্যাপারে কোনো আইনগত বাধা দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে হাইকোর্টের ওই নির্দেশের পর তার যুক্তরাষ্ট্র হয়ে তারেকের সঙ্গে দেখা করতে সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার গুঞ্জন নানা ডালপালা ছড়ায়।

বিশেষ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানকে ফখরুল দেখতে যাবেন; নিজের ঘাড় থেকে ‘ভারপ্রাপ্ত’ শব্দটি খসিয়ে পুরোপুরি ‘মহাসচিব’ হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাটি সারবেন —এমন গুঞ্জনও ক্রমশ ডালপালা ছড়াতে থাকে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়।তিনি বিদেশ যাওয়ার গুঞ্জনকেই অসত্য বলে উড়িয়ে দেন।

যদিও ৬ মে এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘১৮ দলীয় জোটনেতাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের কাটিং কপিসহ রোববার আদালতে একটি রিট আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ৭৮ নেতার বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। দেশের সবক’টি বিমান, স্থল ও নৌবন্দরসহ সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে সতর্ক পাহারা বসানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইমিগ্রেশন অফিসগুলোতে প্রত্যেকের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

গত ৩ মে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় এসব নেতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এরা প্রত্যেকেই মামলার পলাতক আসামি। কোনোভাবেই যেন তারা দেশত্যাগ করতে না পারেন।”

পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন বিমানবন্দরে ও স্থলবন্দরে পাঠানো নামের তালিকার প্রথমে রয়েছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম।

অথচ আলাপকালে রিটের কথা অস্বীকার করে মির্জা ফখরুল বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি সাধারণভাবেই এসেছে। আমার বিদেশ গমনের প্রসঙ্গে আসেনি।”

রাজনীতি