স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা। মিশরের মধ্যস্থতায় পরস্পরের ওপর সব ধরণের হামলা ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার শর্তে বুধবার রাত থেকে গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

বৃহস্পতিবার গাজায় রাস্তাঘাটে ভিড় দেখা যায়। দোকানপাট সব খুলে যায়। ব্যাংকগুলোতে ভিড় দেখা যায়। একইসঙ্গে বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেব সরানোর কাজও শুরু হয়।

গাজার সবজি বিক্রেতা হানি হামাদেহ একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান,আজকের পরিস্থিতি খুবই ভালো। আমরা আবার স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম শুরু করেছি।

গাজার প্রকৌশলী আশরাফ দিয়া জানান, “আজকের সকাল আলাদা। আমার মনে হচ্ছে আমরা আবার নতুন করে শুরু করলাম।”

তবে কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতির শর্তভঙ্গ করলে গাজা বা ইসরায়েল ছাড় দেবে না বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়।

মিশরের রাজধানী কায়রোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে হামাসের নির্বাসিত নেতা খালেদ মেশাল জানান, “ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি মেনে চললে আমরাও মেনে চলবো। কিন্তু ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি মেনে না নেয়, আমরাও অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হবো।”

অন্যদিকে ইসরায়েলের জাতীয় বেতারে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাক জানান, “ যুদ্ধবিরতি ৯ দিন, ৯ সপ্তাহ এমনকি ৯ মাস পর্যন্তও কার্যকর থাকতে পারে। তবে হামাস যদি যুদ্ধবিরতি মেনে না চলে তাহলে আমরা আমাদের করণীয় ঠিক করবো। গাজা থেকে কোনো ধরণের হামলা চালালে আমরা যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করে নেবো।”

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ হামাস ও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ সংঘাত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়ায় মিশরের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি ও অন্যান্য দেশের কূটনেতিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরায়েলে কোনো রকেট হামলায় খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলও গাজায় কোনো বিমান হামলা চালায়নি বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়। আট দিন ধরে চলা সংঘর্ষে ১৬২ জন ফিলিস্তিনি ও পাঁচজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক