ডেসটিনির ১৮ পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলাবাগান থানায় দুদকের দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় ডেসটিনির ১৮ পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ও আতিকুর রহমান এ পরোয়ানা জারি করেন।

ডেসটিনি পরিচালকদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আদালতে দুদকের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা আবদুর রশীদ।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পরিচালক মো. গোফরানুল হক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক বার্তা পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানি, মিসেস ফারাহ দীবা, মিসেস জমসেদ আরা চৌধুরী, নেপাল চন্দ বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকরাম হোসেন সুমন, মিসেস শিরিন আক্তার, মো: মজিবুর রহমান, মো: সুমন আলী খান, মো: সাইদুল ইসলাম খান (রুবেল) ও আবুল কালাম আজাদ ওরফে ম্যাক আজাদ।

২২ নভেম্বর এ মামলা দুটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য আছে।

উল্লেখ্য, ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেন বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন। ডেসটিনি গ্রুপের অপর পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম কারাগারে ও সাবেক সেনাপ্রধান ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন।

গত ৩১ জুলাই এদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের পৃথক দু’টি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দু’টি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা রয়েছে। বাকি তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা তারা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ শীর্ষ খবর