1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ অপরাহ্ন

৩০ এপ্রিলের পর গ্যাসের সংকট কিছুটা কমবে : অর্থমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১২
  • ৭৮ Time View

২০১৩ সালের দিকে প্রায় ৮ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ১৩/১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আগামী ৩০ এপ্রিলের পর গ্যাসের সংকট কিছুটা কমবে বলেও জানান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদেও সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিরা আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান ও এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন ও বিতরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিরা।

এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাহিদা অনুযায়ী এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করা, নৌ-যানের সংখ্যা বাড়ানো, রাস্তার মেরামত ও উন্নয়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো, মোবাইল সিমের ওপর কর হ্রাস ও ইন্টারনেট চার্জ কমানোর সুপারিশ করেছেন তারা।

বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানসহ ১৫টি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন।

সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘বিদ্যুৎ নাই, মানে উন্নয়ন নাই। সুতরাং বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লাভিত্তিক ও পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকারের তিন বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও এখনো প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। এখন সেচের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি কুষ্টিয়া। কিন্তু বিদ্যুৎ সংকটের কারণে এলাকায় যেতে পারি না।

তিনি সক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো কেন কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, গত তিন বছরে এগুলোর সংস্কারে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি জানতে চেয়ে এসব কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার দাবি জানান।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ‘সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুরোনো ও ব্যয়বহুল। এ কারণে এগুলো থেকে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৮শ’ মেগাওয়াট। প্রতি বছরই এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। তবে ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে যা পাচ্ছি তাই নিচ্ছি।‘

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো জানান, আগামী ৩০ এপ্রিলের পর গ্যাসের সংকট কিছুটা কমবে।

এর আগে প্রারম্ভিক বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে মহাজোট সরকার যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ দিয়েছে, তাতে সরকারের শেষ সময়ে ২০১৩ সালের দিকে প্রায় ৮ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ১৩/ ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে আগামী বাজেটে সম্পদ বৃদ্ধি, বৈষম্য কমিয়ে আনা, দক্ষতা বাড়ানো, প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ ও ভর্তুকির বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদী নীতিমালার প্রণয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ