1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন

বিলুপ্তির পথে চিতাবাঘ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ৯৭ Time View

ক্ষিপ্রগতির জন্য বিখ্যাত চিতাবাঘ বিলুপ্ত হবার পথে। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাণীটির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। ওই গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বনে জঙ্গলে এখন মাত্র ৭ হাজার ১শ’টি দ্রুতগামী চিতা টিকে আছে। খবর বিবিসির।

বন্যপ্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকার বাইরেই ৭৭ শতাংশ চিতার বসবাস এবং এ কারণে মানুষের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে এগুলো। এছাড়াও দিন দিন বন-জঙ্গলে মানুষ বসতি স্থাপন ও কৃষিকাজের জন্য দখল করতে থাকায় একদিকে যেমন চিতাদের বাসস্থান কমছে তেমনি যথেষ্ট শিকার পাচ্ছে না এগুলো। আর এ কারণেই বিপদে পড়ে গেছে বিশ্বের দ্রুততম এই স্তন্যপায়ী প্রজাতিটি।

গবেষকেরা তাই চিতাবাঘকে জরুরি ভিত্তিতে ‘নাজুক’ অবস্থান থেকে ‘বিপন্ন’ প্রজাতির প্রাণীর শ্রেণীতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে যে পরিমাণ চিতা টিকে আছে তার অর্ধেকের বেশি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি দেশ জুড়ে বসবাস করে। এশিয়া থেকে চিতাবাঘের অস্তিত্ব প্রায় মুছেই গেছে।

জিম্বাবুয়েতে গত ১৬ বছরে চিতাবাঘের সংখ্যা এক হাজার দু’শো থেকে কমে মাত্র ১৭০য়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রাণীগুলোর আবাসস্থল ও শিকারের ভূমি দখল।

গবেষণাটির প্রধান জ্যুয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডনের ড. সারাহ ডুরান্ট বলছেন, চিতাবাঘ গোপনে বসবাস করতে পছন্দ করে। এ কারণে এ প্রাণী সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য যোগাড় করা সম্ভব হয় না। তারা যে হারিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়গুলোও চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে।

বাসস্থান এবং খাদ্যসংস্থান ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে চিতাশাবক পাচার ও চামড়ার জন্য চিতাবাঘ হত্যা প্রাণীটিকে বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত করার পেছনে অনেক বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ডুরান্ট।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ