1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন

২৯ ঘণ্টায় যত টাকা পেলেন তাসনিম জারা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৮ Time View

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত ঢাকা-৯ আসনের এমপি প্রার্থী ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।

মাত্র ২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন তিনি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় নতুন করে অনুদান গ্রহণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান।

সেখানে তিনি লেখেন, আমাদের ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরানো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।

এখন আসল লড়াই শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ প্রার্থী এই নির্বাচনে ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করবেন। অনেকে বলেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়। কিন্তু তারা একটি বিষয় ভুলে গেছেন, আমাদের সাথে আছেন আপনারা, যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিজের পকেটের পয়সাও খরচ করতে রাজি।

আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরে তাসনিম জারা লেখেন, হিসাব খুব পরিষ্কার। ঢাকা-৯ আসনে প্রায় ৫ লাখ ভোটার। একজন প্রার্থী হিসেবে আমি যদি দিনে ১২ ঘণ্টা হেঁটে হেঁটে প্রতিটি পরিবারের সাথে ৫ মিনিট করেও কথা বলি, তবে দিনে সর্বোচ্চ ১০০-১১০টি পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারবো। পুরো নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে আমি বড়জোর ৪০০০ পরিবারের কাছে যেতে পারবো। কয়েক লাখ পরিবারের কাছে আমাদের মেসেজ পৌঁছাবে না।

আমরা টাকার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করতে এসেছি, তাই আমরা পেইড কর্মী নিয়োগ দেব না। নতুন রাজনীতি গড়ার এই লড়াইয়ে জিততে হলে, মানুষের কাছে আমাদের কথা পৌঁছাতে হলে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অপরিহার্য।”

ফেসবুকে তিনি আরো লেখেন, আপনাদের অনেকেই হয়তো ঢাকা ৯ এর ভোটার নন, কিন্তু আপনাদের আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী বা পরিচিত কেউ না কেউ এই এলাকায় থাকেন।

একজন পরিচিত মানুষের একটি কথা অনেক সময় পোস্টার, ব্যানার, বা টাকা খরচ করা প্রচারণার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হয়। আমি এই ক্যাম্পেইনে নিয়ম মেনে পোস্টার লাগাই নি। অন্য প্রার্থীরা লাগিয়েছেন। এই অসমতা কাটাতেও আপনার একটা ফোন কল সাহায্য করতে পারে।

এছাড়া, আপনাদের কাছে আমার আরও দুইটি সুনির্দিষ্ট আহ্বান আছে :

সপ্তাহে মাত্র ৪-৮ ঘণ্টা সময় দিন আমাদের হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার জন্য।

আপনার দুটি কথা একটি পেইড বিলবোর্ডের চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী হবে। একা একা নয়, আপনি ট্রেনিং নিয়ে একটি টিমের সাথে এই কাজটি করবেন।

পোলিং এজেন্ট হিসেবে কিংবা নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহায়তা করতে আমাদের টিমে যোগ দিন। এক্ষেত্রেও আপনি ট্রেনিং নিয়ে একটি গ্রুপের অংশ হয়ে কাজ করবেন। ভোটের দিন প্রতিটি বুথে আমাদের এমন সাহসী মানুষ প্রয়োজন যারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করবেন না।

আমরা এক সাথে প্রমাণ করবো জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকা কতটা অসহায়।

শুরু থেকেই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, এই ফান্ডের প্রতিটি পয়সার হিসাব হবে স্বচ্ছ। এই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা নিচের পদক্ষেপগুলো মেনে চলছি:

১. আমরা কোনো ক্যাশ ডোনেশন গ্রহণ করছি না। প্রতিটি অনুদান একটি মাত্র বিকাশ ও একটি মাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসছে, যার রেকর্ড সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি ভবিষ্যতে যাচাই করা যাবে।

২. কোন মাধ্যমে কত টাকা আসছে, তা আমরা আপনাদের নিয়মিত জানাচ্ছি। এই সমস্ত নথিপত্র আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেব, যাতে তারা পূর্ণ স্বচ্ছতা যাচাই করতে পারে।

৩. আমরা যে বিকাশ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অনুদান নিচ্ছি, সেখানে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো লেনদেন করা হয় না। অ্যাকাউন্ট দুইটি নতুন। হিসাব শূন্য থেকে শুরু হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলোর ব্যালেন্সের ১০০ শতাংশ অর্থই আপনাদের অনুদান। এতে করে অন্য কোনো টাকা এখানে মিশে যাওয়ার বা হিসাব গোলমাল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

৪। সংগৃহীত অর্থ ঠিক কোন কোন খাতে কতটুকু ব্যয় করা হবে, তা স্পষ্ট করে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ