1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

এরশাদের রাডার ক্রয় মামলার বিচারকাজ শেষে সময় ৪ মাস

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬
  • ১০১ Time View

17জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে মামলায় বিচার প্রক্রিয়াও শেষ করতে বলা হয়েছে।

দুদকের করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২৩ নভেম্বর দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। মামলার শুরু থেকে মুসা পলাতক রয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৭ নভেম্বর এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনায় দুর্নীতির মামলাটিতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা। নিম্ন আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক।

দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া প্রয়োজন বলে গত ২১ অক্টোবর নিম্ন আদালতে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহনের আবেদন করেছিল দুদক। সেই আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে এই রিভিশন আবেদন করা হয়।

দুই যুগ আগের করা এই মামলাটি বিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পর ২০১৪ সালে ঢাকার তৎকালীন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুর রশীদ শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন। এরপর মামলাটি কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে আসে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, তৎকালীন বিমান বাহিনী প্রধান সদর উদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে বাহিনীর জন্য যুগোপযোগী রাডার ক্রয়ের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানি নির্মিত অত্যাধুনিক একটি হাই পাওয়ার রাডার ও দু’টি লো লেভেল রাডার ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

তৎকালীন সেনাবাহিনীপ্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ