1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

জেলহত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫
  • ১৬৯ Time View

422প্রায় পৌনে তিন বছর পর জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৩৫ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

এর আগে, ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ জেলহত্যার মামলায় রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মো. ইমান আলী।

১৯৭৫ সালে জেলখানায় চার নেতা হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায়ে দফাদার মারফত আলী শাহ ও এল ডি দফাদার আবুল হাসেম মৃধার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এই রায় দেন আপিল বিভাগ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করার পর ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।

২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এ মামলায় রায়ে আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফত আলী শাহ (পলাতক) ও দফাদার আবুল হাশেম মৃধাকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামি সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। আর সাবেক মন্ত্রী কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেয়া হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকেও খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়ার রায় বাতিল করে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

জেলাহত্যার ওই ঘটনায় মামলা করার ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার পর ২০০৮ সালে হাই কোর্ট মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেন। পরে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করা হয়। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন মঞ্জুর করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ