সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আর্ন্তজাতিক আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকা।
একইসঙ্গে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের কথা অস্বীকার করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা এবং সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেছে নাসাকা।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে মিয়ানমারের মংডু শহরে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও নাসাকা বাহিনীর মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা-বৈঠকে বিজিবির উদ্দেশ্যে নাসাকা সদস্যরা একথা বলেন।
বৈঠক শেষে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ ফিরে আসেন দুপুর ১২টার পর।
এরপর বিজিবির টেকনাফের ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, মিয়ানমারের বিভিন্ন সীমান্তে সেনা সমাবেশ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি পতাকা-বৈঠক আয়োজনের জন্য গত বৃহস্পতিবার নাসাকা বাহিনীকে চিঠি পাঠানো হয়।
এরই সূত্র ধরে শনিবার সকাল ১০টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ল. কর্নেল মো. জাহিদ হাসান নিজেই।
মিয়ানমারের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ৬ নম্বর সেক্টরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ইউ থেং মি।
লে. কর্নেল মো. জাহিদ হাসান আরও জানান, বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় সৈন্য সমাবেশের বিষয়টি নাসাকার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়।
নাসাকা বিজিবিকে জানান, সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতের যে রায় তা অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য। এ রায়কে স্বাগত জানিয়ে নাসাকা জানায়, এ রায় উভয় দেশের সীমান্ত পাহারায় সহায়ক হয়েছে।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সীমান্তে দায়িত্ব পালনের পক্ষে বৈঠকে নাসাকা ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়। এরপর থেকে মিয়ানমার সীমান্তে সৈনা মোতায়েন করছে বলে গুজব ওঠে।