1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

এক-এগারোর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে : মাহফুজ আলম

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬০ Time View

আবারও এক-এগারোর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, এক-এগারোর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। তবে, জুলাই জয়ী হবে।
জনগণের লড়াই পরাজিত হবে না।

তার পোস্টে তায়েফুর রহমান নামের একজন কমেন্ট করেছেন, ‘১/১১-এর আগে রাস্তা এবং রাজনীতির যে প্রেক্ষাপট ছিল, আজ তা অনুপস্থিত অথবা আমাদের কাছে দৃশ্যমান নয়। আপনি একবাক্যে যদি এ রকম কথা বলেন তাহলে কিভাবে হবে, বলুন?’

তার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মাহফুজ আলম। উত্তরে সংক্ষেপে তিনি লিখেছেন, ‘দৃশ্যমান হচ্ছে, হবে।

এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের সবার। দলীয় বা আদর্শিক বিরোধের জেরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয়। এখানে শিবির ভূমিকা রেখেছে তাদের ‘জনশক্তি’ ও কো-অর্ডিনেশন দিয়ে।
বিভিন্ন প্ল্যাটটফরম থেকে শিবিরের কর্মীরা অভ্যুত্থানকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ক্ষেত্রবিশেষ চালিয়ে নিয়ে গেছেন। ছাত্রদল ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে প্রতিরোধ করেছে, প্রতিরোধ স্পটগুলোতে লড়াই করেছে, তৃণমূলে লীগকে প্রতিরোধ করেছে। ছাত্রশক্তি কো-অর্ডিনেট করছে মাঠে-সামনে থেকে, সিভিল সোসাইটি আর কালচারাল সার্কেলে এবং আস্থা তৈরি করতে পেরেছে।’

ওই পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, ছাত্র ফেডারেশন ও অন্যান্য বাম ছাত্রসংগঠনগুলো মাঠ ও বয়ান ধরে রাখছে, বামপন্থী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো জুলাইয়ের শেষ দিনগুলোতে মাঠে নেমে জনগণের মধ্যে সাহস সঞ্চার করেছে। আলেম ও মাদরাসার ছাত্ররা রাজপথে নেমে দীর্ঘ সময় প্রতিরোধ ধরে রেখেছিলেন।
যাত্রাবাড়ী যার উজ্জ্বল উদাহরণ। শ্রমজীবীরা এবং প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধের স্পটগুলোতে দীর্ঘ সময় লড়াই করেছেন, রিকশাচালক ও নিম্ন, নিম্ম-মধ্যবিত্ত মানুষরা প্রতিরোধ গড়েছেন।’

উপদেষ্টা তার ফেসবুকে আরো জানিয়েছেন, নারীরা রাজপথে লড়েছেন এবং আহতদের সহযোগিতা করেছেন। অভিভাবকরা, বিশেষ করে মায়েরা, বোনেরা কারফিউর দিনগুলোতে এবং জুলাইয়ের শেষ থেকে রাস্তায় নেমে সাহস জুগিয়েছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধের স্পটগুলোতে নিজেরাই নেতৃত্ব দিয়ে অভ্যুত্থান এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাংবাদিক সমিতি ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন অভ্যুত্থানের পক্ষে নীরব অথচ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।

ছাত্রলীগের একটা অংশ বিদ্রোহ করে অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, উঠতি মধ্যবিত্ত জুলাইয়ের শেষ দিকে নেমে অভ্যুত্থানকে আরো ব্যাপক করেছেন। পেশাজীবী সংগঠনগুলো এবং সাংস্কৃতিক ও মিডিয়াকর্মীরা জুলাইয়ের শেষ দিকে একাত্মতা প্রকাশ করে অভ্যুত্থানকে শক্তিশালী করেছেন। প্রবাসী শ্রমিক, চাকুরে এবং প্রফেশনালরা জুলাইকে, বাংলাদেশের লড়াইকে বৈশ্বিক করতে ভূমিকা রেখেছেন।
সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার এবং র‍্যাপাররা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন।
জনগণের লড়াইয়ের কার কোন অবদান অস্বীকার করবেন?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ