1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন

পরমাণু ইস্যুতে বেইজিংয়ে চীন-ইরান-রাশিয়ার আলোচনা শুরু

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৩ Time View

ইরান, রাশিয়া এবং চীনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা শুক্রবার বেইজিংয়ে তেহরানের পারমাণবিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য একত্রিত হয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি, কয়েক দিন পর এই খবর প্রকাশিত হলো।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক ইস্যুতে চীন, রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে ১৪ মার্চ বেইজিংয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বুধবার নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওসু ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ সম্প্রসারণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

২০১৫ সালে ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।
কিন্তু ২০১৮ সালে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের এক বছর পর, তিনি চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইরানের নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কারণ পশ্চিমা বিশ্ব আশঙ্কা করছে, ইরান দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘হুমকি থাকা সত্ত্বেও তিনি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করবেন না।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আলোচনায় বসব না, যা খুশি করুন।’

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

খামেনি বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছি। এরপর একটি সম্পূর্ণ ও স্বাক্ষরিত চুক্তিতে পৌঁছেছি এবং তারপর এই ব্যক্তি (ট্রাম্প) তা ছিঁড়ে ফেলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে কেউ আলোচনা করতে পারে? … যখন আমরা জানি তারা করবে না, তাহলে আলোচনার অর্থ কী?’

যদিও খামেনি বলেছেন, তিনি চিঠিটি দেখেননি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে এটি পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ