1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

হাসিনা-মিলিব্যান্ড সাক্ষাৎ ‘ব্রিটেন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি ঐতিহাসিক’

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২
  • ৬৫ Time View

ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা এড মিলিব্যান্ড।
তিনি বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের পারষ্পরিক সম্পর্কের ভিত্তি ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
মিলিব্যান্ডের নেতৃত্বে লেবার পার্টির একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় দুই নেতা ব্রিটেন-বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়ে একই মত পোষণ করেন।
কেন্দ্রীয় লন্ডনের সেন্ট প্যাংক্রাস রেঁনেসা হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি, ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও এম্বেসেডর এট লার্জ জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
এড মিলিব্যান্ডের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শ্যাডো ফরেন সেক্রেটারি ডগলাস আলেক্সজান্ডার এমপি, রোশনারা আলী এমপি, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মিজ নিরমালি ওয়ানডুরাগালা, প্রাইভেট সেক্রেটারি মি. সায়মন এলক এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিন আলী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসে ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা বাংলাদেশ-ব্রিটেনের পারষ্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে লেবার পার্টির অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক সময়ে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে লেবার পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।”
তিনি বলেন, “লন্ডনের দুটো বারার নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মেয়র ও বিপুল সংখ্যক কাউন্সিলাররা সবাই লেবার পার্টির সদস্য।”
এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে লন্ডন বারা অব কেমডেনের কাউন্সিলার টিউলিপ সিদ্দিকীকে একজন একসিলেন্ট রাজনীতিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশংসা করেন।
তিনি লেবার পার্টির সঙ্গে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততার কথাও স্মরণ করেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এমপি রোশনারা আলীও লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, এ বিষয়টি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে এসে এড মিলিব্যান্ড আবারও উল্লেখ করেন। এ সময় ব্রিটিশ বিরোধী দলীয় নেতা ব্রিটেন ও বাংলাদেশের এমপিদের মধ্যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ড বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও লেবার পার্টির ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথাও এ সময় স্মরণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী দলীয় নেতা এ সময় বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থা, দেশটির পার্লামেন্টের কার্যকারিতা এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়েও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতাকে বাংলাদেশ বিষয়ে তার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানান। ব্রিটেন-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারষ্পরিক সম্পর্ককে চমৎকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রফতানি গন্তব্যের দেশ।”
গণতন্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রযাত্রার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের শাসনামলের বিগত সাড়ে তিন বছরে স্থানীয় ও জাতীয় মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার ২ শটি আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এইসব নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি।”
গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা নিশ্চিত করতে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতিকে পার্লামেন্টকেন্দ্রীক করার চেষ্টা সব সময়ই চালিয়ে আসছে আমাদের দল।”
তিনি বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সময় মোট ১৮ বছর দেশটি ছিল সেনা শাসনের অধীনে। ফলে গণতন্ত্রের চর্চা করার যথেষ্ট সময় পাইনি আমরা।”
প্রধানমন্ত্রী লেবার নেতা এড মিলিব্যান্ডকে জানান, বর্তমান কার্যকর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ভবিষ্যতেও যাতে অব্যাহত থাকে সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতাকে অবহিত করে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটেন পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ