ব্রিটেনকে টপকে ব্রাজিল ষষ্ঠ, এশিয়ার অবস্থা ভাল

ব্রিটেনকে টপকে ব্রাজিল ষষ্ঠ, এশিয়ার অবস্থা ভাল

ব্রিটেনকে টপকে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এখন ব্রাজিল। অর্থনৈতিক গবেষণা বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে।

সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) নামের গবেষণা সংস্থাটি ২০১১ সালে অর্থনীতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবস্থান নির্ধারণ করেছে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, অর্থনৈতিক লড়াইয়ে এশিয়ার দেশগুলো ইউরোপকে দ্রুত পেছনে ফেলে যাচ্ছে।

অর্থনীতির প্রতিযোগিতায় ব্রিটেনের অধোগতি অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে সংস্থাটির ধারণা, ফ্রান্সের অর্থনীতি আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ব্রিটেনের অর্থনীতিকে অতিক্রম করবে।

ইউরোপের অর্থনৈতিক সঙ্কটের ওপর আলেকপাত করে সিইবিআর জানায়, ইউরোজোনের বর্তমান সঙ্কট সমাধান হলেও এর প্রভাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ২০১২ সালে ০.০৬ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে।

তবে ইউরোজোন তার বর্তমান সঙ্কট কাটাতে না পারলে অর্থনীতি সঙ্কোচণের পরিমাণ ২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।

সিইবিআর’র প্রধান নির্বাহী ডগলাস ম্যাকউইলিয়াম একটি ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতিতে ব্রিটেনকে ব্রাজিলের অতিক্রম করার ঘটনা বর্তমান বিশ্বের চলতি অর্থনৈতিক ধারারই প্রতিফলন।

অবশ্য সিইবিআর’র এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) চলতি বছরের প্রথম দিকে আভাস দিয়েছিল; ব্রাজিলের অর্থনীতি ২০১১ সালের মধ্যেই ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২০ কোটি যা ব্রিটেনের তিনগুণ।

সিইবিআর’র পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রাশিয়া আগের অবস্থা থেকে এক ধাপ এগিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির র‌্যাংকিংয়ে নবম অবস্থানে উঠে এসেছে। রাশিয়ার অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং ২০২০ সালের মধ্যেই দেশটি বিশ্বের শীর্ষ চার অর্থনীতির মধ্যে একটি হবে বলে সংস্থাটির ধারণা।

এদিকে, দশম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। এছাড়া, দেশটি ২০২০ সালের মধ্যেই বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

তবে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দৌড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর অধোগতি অব্যাহত থাকবে বলে সমীক্ষায় পেয়েছে সিইবিআর ।

সিইবিআর’র হিসাবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী অর্থনীতি জার্মানি ২০১১ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চতুর্থ অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অবস্থান আরও নেমে গিয়ে ২০২০ সালে সাতে নেমে যাবে। সেই সঙ্গে ব্রিটেন সাত থেকে আটে এবং ফ্রান্স পাঁচ থেকে নয় এ নেমে যাবে বলে সিইবিআর’র পর্যবেক্ষণ।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর