বরাবরের মতো আসছে রমজানেও বেড়ে যাবে তেল, ডালসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের দুর্ভোগে ফেলবে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা।
তাই এবারের রমজানে ভোক্তাদের দুর্ভোগ কমাতে ও বাড়তি চাহিদা মেটাতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তাদের মজুদ বাড়ানোর তালিকায় থাকা অন্য পণ্যগুলো হল- ছোলা, চিনি ও খেজুর।
টিসিবি সূত্রে জানা যায়, টিসিবির হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুদ রয়েছে। এই নিয়মিত মজুদের পাশাপাশি রমজান উপলক্ষ্যে এরইমধ্যে ৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত সয়াবিন, ১ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত পামঅয়েল, ১১ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ৩ হাজার মেট্রিক টন ছোলা ও ১ হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানির স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিবি।
এরই মধ্যে শাহিক সিন্ডিকেটের সঙ্গে ১ হাজার মেট্রিক টন ছোলা আমদানির চুক্তি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মাথায় এসব ছোলা চট্রগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছুবে।
রমজান উপলক্ষ্যে এ পাঁচটি পণ্য স্থানীয় বাজার ও আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে। রমজানের আগেই এসব পণ্য সামগ্রী মজুদের কাজ সম্পন্ন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে টিসিবি সূত্র।
চিনি আমদানি সর্ম্পকে একটি সূত্র জানায়, টিসিবি’র স্থানীয় বাজার থেকে এবং বাংলাদেশ চিনি শিল্প করপোরেশন থেকে পর্যাপ্ত চিনি মজুদ করা হয়েছে। আগামী ছয় মাস চিনি মজুদ না করলেও চিনি সংকটে পড়বে না টিসিবি। তারপরও রমজান উপলক্ষে আরো চিনি মজুদ করবে টিসিবি।
এদিকে অরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে টিসিবি’র কাছে ৭ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত ভোজ্য তেল এবং ৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত ভোজ্য তেল মজুদ রয়েছে। চিনি মজুদ রয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া এ পাঁচটি পণ্যের মধ্যে বাকি পণ্যগুলোও পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে।
রমজান উপলক্ষে টিসিবি’র প্রস্তুতি সর্ম্পকে টিসিবি’র চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সারোয়ার জাহান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘এবার টিসিবির প্রস্তুতি আগের সময়ের চেয়ে অনেক ভাল। আমদানির ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্বিদ্ধান্ত অনুযায়ী টিসিবি পুরোপুরি প্রস্তুত। দেশের অভ্যান্তরীণ বাজারে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনা করে কাজ করছে টিসিবি।’
তিনি বলেন, ‘রমজানের এসব পণ্য সামগ্রী আমদানির জন্য এরইমধ্যে কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন করা হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি আমদানির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সেগুলোর চুক্তিও প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে যেগুলোর চুক্তি সম্পন্ন হয়ে গেছে সেসব পণ্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এসে পৌঁছুবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে টিসিবি সরকারের পলিসি অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি করে থাকে।
এছাড়া বেশ কিছু দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পণ্য মূল্য মনিটর করার পাশাপাশি আমদানি রা পণ্য বিক্রয় ও বিতরণের জন্য ডিলার বা এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে।