1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ, বাধা নেই নির্বাচনে অপরাধীরা যাতে সীমান্ত দিয়ে পালাতে না পারে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আসন পরির্বতনসহ দলীয় প্রার্থীও বদল করেছে বিএনপি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : তাসনিম জারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে কি না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোঝা যাবে: ট্রাম্প মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৭৮০ জন, জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ নাহিদ ইসলামরা এভাবে প্রতারণা না করলেও পারতেন : আব্দুল কাদের এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ৩০

কেন সুচির সুর নরম, নিরাপত্তা পরিষদ কি বলেছে তাকে

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ মে, ২০১৮
  • ২৯ Time View

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যাপারে ক্রমাগত একের পর এক টালবাহানার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচি মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘নিরাপদ প্রত্যাবাসনের’ জন্য জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করার এখন উপযুক্ত সময়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সফরকারী প্রতিনিধিদলের সাথে সেদিন সন্ধ্যায় এক বৈঠকের পর মিস সুচির অফিস থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে – ‘শরণার্থীরা’ যাতে ‘নির্ভয়ে’ রাখাইনে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করা তার সরকারের পক্ষে সুবিধে হবে যদি বিদেশীদের এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা যায়।

মিস সুচি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার(ইউএনএইচসিআর) সাথে একটি চুক্তি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে করে মিস সুচি তার বিবৃতিতে এমন কথাও বলেছেন, এটি একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা…গণতান্ত্রিক মিয়ানমারে সহিংসতার কোনো স্থান নেই…যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের জোর চেষ্টা করতে হবে, সহিংসতার মূল কারণগুলো দুর করতে হবে।

মিয়ানমার সরকার এবং অং সান সুচি নিজেও এর আগে জাতিসংঘকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার ঘোর বিরোধী ছিলেন।

ফলে এই বিবৃতিকে মিয়ানমারে বিবিসির সংবাদদাতা নিক বিক অং সান সুচির অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবর্তন হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে বলেছেন – সফরকারী কূটনীতিকরা মিস সুচি এবং মিয়ানমারের সেনা প্রধানকে ‘স্পষ্ট করে বলেছেন’ রাখাইনে নির্যাতন, হত্যা এবং ধর্ষণের ঘটনাগুলোর ‘বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্ত না করণে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিসি) বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এর আগে জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘কপি-বুক’ জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছে।

গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টরসের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ধর্ষণ এবং হত্যার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে মিয়ানমারের সেনা-কর্মকর্তাদের আইসিসিতে বিচার হলে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করা যায়। বিবিসির সংবাদদাতা মনে করছেন, এই হুমকি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে।

জাতিসংঘের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে কথাবার্তা চলছে এবং তার বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে একটি চুক্তি হতে পারে। তবে তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতেই কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

পর্যবেক্ষকরা অবশ্য বিশ্বাস করেন – সেনাবাহিনী এখনও মিয়ানমারে ক্ষমতার উৎস এবং সেদেশের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেন।

এছাড়া, ফেরার শর্ত হিসাবে নাগরিকত্বের যে দাবি রোহিঙ্গারা করছেন সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতির কোনো ইঙ্গিত মিয়ানমার এখনো দেয়নি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ