1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

এবার ব্যাংকেই ছেড়া নোট বদল

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১২
  • ২৬৬ Time View

বাংলাদেশ ব্যাংক কাউন্টার থেকে বুধবার আর  ভাংতি টাকা পাওয়া যাবে না। একই সাথে নতুন নোট বিতরণও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিবর্তে এ সেবা দেবে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো।

এরফলে দেশের ৪৭টি ব্যাংকের প্রায় ৮ হাজার শাখার মাধ্যমে গ্রাহকরা ভাংতি টাকা অথবা নতুন নোট পাবেন।

ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তফসিলি ব্যাংকগুলো এ সেবা দিতে বাধ্য থাকবে। সেবা প্রদানের বিষয়টি কঠোর নজরদারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ছেড়া অথবা জীর্ণ নোট বদল আরো কিছু দিন তফসিলি ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার মঙ্গলবার টেলিফোনে জানান, বুধবার থেকে গ্রাহকদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে ভাংতি টাকা এবং চাহিদা মোতাবেক নতুন টাকা দিতে বাধ্য থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যাপারে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নোট ও কয়েন সরবরাহ করা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক সময় সময় আরো সরবরাহ করা হবে।

তিনি বলেন, ছেড়া অথবা জীর্ণ নোট বদল করার সেবাটি আমরা আরো কিছুদিন অব্যাহত রাখব। তবে তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকেও এ সেবা পাবেন গ্রাহকরা।

সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১০ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নেয়। সর্ব সাধারনের প্রয়োজন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জন সাধারনের দোড় গোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। তারই আলোকে জন সাধারণ যাতে আরো সহজে নতুন টাকা গ্রহণ, পুরনো বা ছেড়া টাকা বদল এবং ভাংতি নিতে পারে তার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে।

যাতে করে জন সাধারণকে সংশ্লিষ্ট সেবা নিতে আর বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হবে না। বলা হয়েছে  বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের প্রথম শ্রেণির কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করাটাও জরুরি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জানান,  গ্রাহকরা যদি ব্যাংকগুলো থেকে সেবা না পান অথবা হয়রানির শিকার হতে হয় তবে তা বাংলাদেশ ব্যাংককে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেন।

এজন্য প্রয়োজনে আমাদের গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র (হেল্প ডেস্ক) এ ফোন করতে পারেন। এর নম্বর ১৬২৩৬। এছাড়া সরাসরি গভর্নর সচিবালয়ে জানাতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ