1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজা যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপ শুরুর ঘোষণা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আজ আসছে না এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পেছাল কোনো ছাড় নয়, ইউক্রেনকে ডনবাস ছাড়তে হবে নয়তো শক্তি প্রয়োগে স্বাধীন করব কেউ কেউ জুলাইয়ের স্পিরিটকে বিক্রি করে দিচ্ছে : শিবির সভাপতি ঢাকায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা ফাঁকা আরো ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে অপসারণে আইনি নোটিশ জুবাইদা রহমান কাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন : মাহদী আমিন মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের ৮৮টি বন মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

ইয়াতিমের লালন-পালন ও সম্পদের রক্ষাবেক্ষণের বিধান

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৭
  • ১৬০ Time View

মদ জুয়া এবং ব্যয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের পর দুনিয়া পরকালের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার ব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ দেয়ার পর আল্লাহ তাআলা ইয়াতিম ছেলেমেয়েদের প্রতি সঠিক আচরণের ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন। ইয়াতিমদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে। বা তাদের ভরণপোষণ ও তাদের সম্পদের বিষয়ে কি নীতি অবলম্বন করবে ইত্যাদি বিষয়ের প্রশ্নের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বিষয়টি স্পষ্ট করে আয়াত নাজিল করে বলেন-

Quran
আয়াতের অনুবাদ

Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২২০ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মদ ও জুয়ার কুফল এবং আল্লাহর পথে ব্যয়ের ব্যাপারে দুনিয়া ও পরকালের লাভ-ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অতঃপর ইয়াতিমদের বিষয়ে প্রশ্নের আলোকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

ইয়াতিমদের বিষয়ে এ আয়াতটি নাজিলের আগে তাদের অধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে কুরআনে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, ‘ইয়াতিমের সম্পদের ধারে কাছেও যেয়ো না।’ এবং ‘যারা জুলুম নির্যাতন চালিয়ে ইয়াতিমদের সম্পদ খায় তারা আগুন দিয়ে নিজেদের পেট ভরে নেয়।’

এ কঠোর আয়াত নাজিলের কারণে তৎকালীন সময়ে যাদের অধীনে ইয়াতিম সন্তানরা লালিত-পালিত হচ্ছিল; আয়াতের ভয়াবহতার কারণে তারা ইয়াতিমদের খাওয়া পরার ব্যবস্থাও আলাদা করে দিয়েছিল।

এ ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের পরও তারা ইয়াতিমদের সম্পদের কিছু অংশ তাদের নিজেদের ব্যবহার্য জিনিসের সঙ্গে মিশে যায় কিনা এ ভয়ের আশংকা করছিল।

তাই তারা ইয়াতিম ছেলেমেয়েদের সাথে লেনদেন ও আচরণের সঠিক পদ্ধতি কি হতে পারে, সে সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাজিল করেন।

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইয়াতিমতের খাদ্য ও পানি পৃথক করা ছাড়া খুঁটিনাটিভাবে তাদের মাল দেখাশুনা করা খুবই কঠিন।’

অতঃপর ঈমানদারদের কষ্ট ও বিপদে না ফেলে ইয়াতিমদের আহার ও পানি পৃথক করার কারণে যে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল, এ আয়াত নাজিল করে আল্লাহ তাআলা তা দূর করে দিলেন। যার ফলে তারা একই হাঁড়িতে রান্নাবান্না করা এবং মিলিতভাবে কাজ করার বৈধতা পেলেন।

এমনকি ইয়াতিমের অভিভাবক যদি দরিদ্র হয় তবে ন্যায়ভাবে সে নিজের কাজে ইয়াতিমের মাল খরচ করতে পারে। আর যদি কোনো ধনি অভিভাবক প্রয়োজন বশত ইয়াতিমের মাল নিজের কাজে লাগায়, তবে সে পরে তা আদায় করে দেবে।

পড়ুন- সুরা বাকারার ২১৯ নং আয়াত

পরিষেশে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইয়াতিমের লালন-পালন ও তার সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কুরআনের বিধান যথযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে কুরআন সুন্নাহর বিধান পালন এবং তা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও প্রচেষ্টার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ