🕌 মুসলিমের করণীয় (আল-কোরআনের আলোকে)
১. আল্লাহর ইবাদত করা
“আমি জ্বিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।”
— সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৬
২. শুধুমাত্র আল্লাহর উপর ঈমান রাখা ও শিরক না করা
“আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না।”
— সূরা নিসা ৪:৩৬
৩. নামাজ কায়েম করা
“নামাজ কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রুকু করো রুকুকারীদের সাথে।”
— সূরা বাকারা ২:৪৩
৪. যাকাত আদায় করা ও দরিদ্রকে সাহায্য করা
— সূরা তাওবা ৯:৬০
৫. রোজা পালন করা
— সূরা বাকারা ২:১৮৩
৬. হজ পালন করা (সামর্থ্য থাকলে)
— সূরা আলে ইমরান ৩:৯৭
৭. সত্যবাদিতা অবলম্বন করা
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো।”
— সূরা তাওবা ৯:১১৯
৮. ন্যায় বিচার করা
— সূরা নিসা ৪:৫৮
৯. পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা
— সূরা ইসরা ১৭:২৩
১০. আমানত রক্ষা করা
— সূরা আনফাল ৮:২৭
🚫 মুসলিমের বর্জনীয় (আল-কোরআনের আলোকে)
১. শিরক না করা (আল্লাহর সাথে অংশীদার না করা)
— সূরা লুকমান ৩১:১৩
২. ব্যভিচার ও অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা
“ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটি অশ্লীল কাজ এবং অত্যন্ত নিকৃষ্ট পথ।”
— সূরা ইসরা ১৭:৩২
৩. চুরি না করা
— সূরা মায়েদা ৫:৩৮
৪. খুন-খারাপি না করা
— সূরা ইসরা ১৭:৩৩
৫. মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য গণনা থেকে বিরত থাকা
“হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্য নির্ধারণের তীর এগুলো শয়তানের অপবিত্র কাজ। এগুলো থেকে বেঁচে থাকো।”
— সূরা মায়েদা ৫:৯০
৬. সুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকা
— সূরা বাকারা ২:২৭৫
৭. গীবত ও পরনিন্দা না করা
“তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করবে?”
— সূরা হুজুরাত ৪৯:১২
৮. অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ না করা
— সূরা বাকারা ২:১৮৮
৯. অহংকার না করা
— সূরা লোকমান ৩১:১৮
১০. মিথ্যা কথা ও প্রতারণা থেকে দূরে থাকা
— সূরা হাজ্জ ২২:৩০
✅ সারসংক্ষেপ:
আল-কোরআন মুসলিমদের শিক্ষা দেয়—আল্লাহর ইবাদত, ন্যায়, সত্য, দয়া ও নৈতিকতা অবলম্বন করতে এবং শিরক, অন্যায়, অশ্লীলতা, প্রতারণা, ব্যভিচার, খুন, মদ, সুদ ও গীবত থেকে বেঁচে থাকতে।