1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

সার্ক মেলায় লাখো দর্শক, ব্যবসায়ীরা খুশি

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১২
  • ৮০ Time View

১১তম সার্ক বাণিজ্য ও পর্যটন মেলার দ্বিতীয় দিনেই দর্শক সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মেলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ অর্ডার পেয়েছেন।

মেলার আয়োজক বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিনদিনে ২ লাখ দর্শক মেলায় আসবেন। কিন্তু প্রথম দিনেই দর্শক এসেছে ৮০ হাজার। শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রথম দিনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এ মেলায় সার্কভুক্ত ৭টি সদস্য দেশ ছাড়াও মেলায় পর্যবেক্ষক দেশসমূহ অংশ নিয়েছে।

মেলার আয়োজক সংস্থা ইপিবির উপ-পরিচালক (ফেয়ার অ্যান্ড ডিসপ্লে) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, তিনদিনে মেলায় আমাদের টার্গেট ছিল দুই লাখ দর্শক আসবেন। কিন্তু প্রথম দিনেই এই সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। আজ (শনিবার) এই সংখ্যা আরো বেশি হবে।

দক্ষিণ এশিয়ায় আমদানি-রফতানিকারকদের মধ্যে ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টিতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই এ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। ইপিবি ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড যৌথভাবে মেলার আয়োজক।

মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফার্নিচার ‘হাতিল’। হাতিলের নির্বাহী (কর্পোরেট সেলস) নুরুল ইসলাম শিমুল বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সাল থেকেই তারা ভারতে নিয়মিত ফার্নিচার রফতানি করেন। এবার সার্ক বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে পাকিস্তান ও ভুটানে ফার্নিচার রফতানির সুযোগ এসেছে। এরই মধ্যে ভুটান থেকে ডাইনিং চেয়ারের বিপুল অর্ডার পেয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গেও কথা চলছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, মার্চ থেকে আমরা জাপানে ফার্নিচার রফতানি করছি। মেলার শেষ দিনে আরো দু’একটি দেশ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবো বলে আশা করছি।

নাভানা ফার্নিচারের সিনিয়র নির্বাহী (রপ্তানি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আগরতলায় আমরা ফার্নিচার রফতানি করে থাকি। এবারের মেলার মাধ্যমে আমরা নেপাল ও ভুটানে ফার্নিচার রফতানির অর্ডার পেয়েছি।

তিনি জানান, নেপালের ফার্নিচার মার্কেট মূলত একচেটিয়াভাবে চীনের দখলে। তবে চীনের ফার্নিচারের তুলনায় বাংলাদেশি ফার্নিচারের দাম যেমন কম, তেমনি আন্তর্জাতিক মানের। মেলায় আগত বিদেশিরা বাংলাদেশি ফার্নিচারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, দেশীয় কাঠের পাশাপাশি নাভানার ফার্নিচার তৈরিতে কানাডার ‘রেড ওক’ কাঠ ব্যবহৃত হয়। দেশি কাঠ সাভারের কারখানায় প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে মান উন্নত করা হয়। যাতে এসব কাঠের তৈরি ফার্নিচার আন্তর্জাতিক মানের হয়।

মেলায় বাংলাদেশি বিভিন্ন স্টল ছাড়াও ভারতের ৩০টি স্টল, পাকিস্তানের ১৮টি, নেপালের ১০টি, ভুটানের ১০টি ও শ্রীলংকার ৭টি স্টল রয়েছে।

রোববার মেলার শেষ দিন। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ