1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন

বাজারে ভারতীয় গরুর অভাব নেই

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
  • ১০৩ Time View

বাংলাদেশে যখন কোরবানি ঈদ সমাগত, তখন গত কয়েক মাস ধরেই বিস্তর কথাবার্তা হচ্ছে aishdjasভারতীয় গরু আমদানি নিয়ে। ভারত সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করেছে, এমন সংবাদে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দামও বেশ চড়া হয়েছে।

কিন্তু ঢাকার গাবতলির একজন বড় ব্যবসায়ী বলছেন, ভারত থেকে গরু আসা কখনোই বন্ধ হয়নি, এখনো বন্ধ নেই। মজিবুর রহমান নামের ওই ব্যবসায়ী নিজেও ভারত থেকে আনা গরু ও মহিষ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করছিলেন।

সংবাদদাতাকে মজিবুর রহমান বলেন, “আপনারা যে বলেন ইন্ডিয়ান গরু নেই, আমি তো তা দেখি না। বাজারে ইন্ডিয়ান গরুর অভাব নেই। আমার আজকেও উনত্রিশটা গরু এসেছে।” চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত থেকে এগুলো তিনি কিনে এনেছেন বলে জানান।
মজিবুর রহমান বলেন, “আসছে তো অবৈধ পথে। আমাদের দেশে ভারতীয় গরু আসার বৈধ কোনো পথ নেই। কাস্টমসকে ৫০০ টাকা দিলেই গরু বৈধ হয়ে যায়।”

ছিনতাই করা গরু হাটেই বিক্রি হয়
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার হাটে পশুর সরবরাহ অপ্রতুল, দামও এখন পর্যন্ত বেশিই হাঁকানো হচ্ছে।

এরই মধ্যে শনিবারই খোদ রাজধানীতেই ব্যবসায়ীদের আহত করে একটি গরুর ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব ছিনতাই করা গরুর বাজার কোথায়?

মজিবুর রহমান বলছেন, হাটেই বিক্রি হচ্ছে এসব গরু। “এই যে গাবতলির হাট, বিশাল বড় হাট। আমার স্থান থেকে কিছু দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে যদি আমারই গরু কেউ বিক্রি করে চলে যায়, তাহলে তো আর আমি ধরতে পারব না। এ রকম কতগুলো হাটে পাহারা বসাব আমি? তবে আমার ৩৮ বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা বলছে এবার চুরি-ছিনতাই এখন পর্যন্ত একটু কম।”

পুলিশের কাছ থেকে তারা খুব একটা নিরাপত্তা পান না বলে জানান মজিবুর। তিনি বলেন, “বোবা জাতির ব্যবসা করি, মূর্খ সমাজ, আমরা এমনিতে নির্যাতিতের তালিকায় আছি। আমরা কোনো নিরাপত্তা পাই না।”

এবার মহাসড়কে যাতে গরুর ট্রাক না আটকানো হয় সেজন্য এরই মধ্যে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।

মজিবুর রহমান বলছেন, এবার মহাসড়কে চাঁদাবাজি কম। পুলিশও চাঁদা দাবি করছে না। তবে সামান্য কিছু টাকা তারা পুলিশকে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এক-আধ শ টাকা আমরা পুলিশকে খুশিতেই দিই। আগে যেমন কইতো দুই হাজার দাও, তিন হাজার দাও, পাঁচ হাজার দাও, এবার সেটা নেই।” – বিবিসি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ