
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে বিএনপি জোটের নাশকতার সমালোচনা করে বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াত আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করতে চায়। তাদের হঠকারী অবরোধ কর্মসূচি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ও ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিন্স সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘আমি আশাকরি বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। ইউএনডিপি স্থলসীমান্ত চুক্তির পর ভারতের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ছিটমহলগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে সংস্থাটি ছিটমহলগুলোর অধিবাসীদের দেশের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতেও কাজ করতে চায়।
রবার্ট ওয়াটকিন্স বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। তিনি বাংলাদেশ থেকে তাঁর কূটনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। আর তাই এ দেশের প্রতি তার (মুন) বিশেষ সহানুভূতি রয়েছে। রবার্ট বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশেষ করে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নজিরবিহীন সাফল্য অর্জিত হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ এমডিজি-পরবর্তী লক্ষ্য পূরণেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে তার সরকারের অব্যাহত প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রথম পদক্ষেপে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। এখন পুষ্টি চাহিদা মেটানোর কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ভিশন-২০২১ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত হবে। সরকার আগামি তিন বছরের মধ্যে দেশের দারিদ্র্যের হার আরো ১০ শতাংশ হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছে।
শেখ হাসিনা এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারী শিক্ষাসহ শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।