লিবিয়ায় গত দু দিনে পৃথক দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে আজ বুধবার সকালে ত্রিপোলি বিমানবন্দরের কাছে গাছর বিন গাছর এলাকায় মারা যান তিনজন।
তাঁরা হলেন গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে মশিউর রহমান, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আলী শেখের ছেলে শেখ মোহাম্মদ মিলন এবং একই উপজেলার সরওয়ার মোল্লার ছেলে মুরাদ।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি আজ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকেজানান, নিহত তিনজনই টাইলস টেকনিশয়ান হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা ওই এলাকার একটি ভবনের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ওই ভবনে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই ওই তিনজন নিহত হন। তাঁদের মরদেহ বর্তমানে ত্রিপোলি মেডিকেল সেন্টারে রাখা আছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিপোলির সাররাজ এলাকার একটি পানি বিশুদ্ধকরণ কোম্পানিতে হামলায় মারা যান নরসিংদীর বেলাব উপজেলার ফুল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সদর আলীর ছেলে মিলন হোসেন।
আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি আরও জানান, এই দুজনসহ মোট ১৪ বাংলাদেশি সাররাজ এলাকার আফিয়া লিবিয়া পানি বিশুদ্ধকরণ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গতকাল বিকাল চারটার দিকে সেখানে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করলে মিলন ও মনির মারা যান। আহত হন কক্সবাজারের আবদুল হামিদ ও হবিগঞ্জের আম্বর আলী। নিহতদের মরদেহ ত্রিপোলির বু সেলিম হাসপাতালে রাখা আছে। আহতদের চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ১০ জন সুস্থ আছেন। তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।
লিবিয়ার ত্রিপোলির মূল বিমানবন্দরের দখল নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত সংঘর্ষ চলছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ত্রিপোলিতে ব্যাপক মাত্রায় গোলাবর্ষণ হয়।
এর আগে গত ২১ জুন রাতে লিবিয়ার বেনগাজি শহরের সামা লিবিয়া নামের একটি পানি বিশুদ্ধকরণ কারখানার আবাসিক ক্যাম্পে ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মোহাম্মদ মিলন ও মোহাম্মদ স্বপন মারা যান। তাঁরা দুজন ভাই। রাতে বিশ্রাম নেওয়ার সময় হঠাত্ ক্যাম্পের দেওয়ালে একটি ক্ষেপণাস্ত্র লাগলে তাঁরা নিহত হন।