1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

লা লিগার শিরোপা ঘরে তুললো অ্যাতলেটিকো

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৮ মে, ২০১৪
  • ৮০ Time View

atletica১৮ বছর পর বার্সেলোনার বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র করে শিরোপা জিতলো মৌসুমের চমক জাগানো দলটি। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যাতলেটিকো। আর এটা অ্যাতলেটিকোর দশম লিগ শিরোপা।

শনিবার অ্যালেক্সিস সানচেসের প্রথমার্ধের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দিয়েগো গদিনের গোলে সমতা ফেরায় অ্যাতলেটিকো।

তৃতীয় শক্তি হিসেবে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব গড়তে ড্র করলেই চলত অ্যাতলেটিকোর।

পায়ের পেশীর চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন দলটির মূল ভরসা দিয়েগো কস্তা। কিন্তু ১৪ মিনিট খেলা হওয়ার পরই তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন কোচ দিয়েগো সিমেওনে। আর ২৩তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অ্যাতলেটিকোর মিডফিল্ডার আরদা তুরান। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ‘ফাইনালে’ রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে অ্যাতলেটিকো।

শিরোপা ধরে রাখতে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে জিততেই হতো বার্সেলোনাকে। সে লক্ষ্যে প্রথমদিকে উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও ৩৪তম মিনিটে আলেক্সিস সানচেসের অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেস ফ্যাব্রেগাসের উচু পাস ডি বক্সের মাঝে বুক দিয়ে নামিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর তা থেকে বল পেয়ে কেউ কিছু বোঝার আগেই দুর্দান্ত এক শটে গোলপোস্টের উপরের ডান কোণা দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন চিলির এই স্ট্রাইকার।

তবে পুরো মৌসুম জুড়ে দাপট দেখানো অ্যাতলেটিকোকে বিরতির পর আর রুখতে পারেনি জেরার্ড পিকে-দানি আলভেসরা। কোচ সিমেওনের মন্ত্রে উজ্জীবিত অ্যাতলেটিকো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার দাভিদ ভিয়ার শট পিন্তোকে ফাঁকি দিলেও বল ফিরিয়ে দেয় গোলপোস্ট। তবে তিন মিনিট পরেই সমতা ফেরায় অ্যাতলেটিকো। ডান প্রান্ত থেকে কোকের কর্নারে জোরালো হেডে গোল করেন ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন।

১-১ সমতার পর আবারো রক্ষণভাগ সামলাতে জোর দেয় অ্যাতলেটিকো। ফলে আক্রমণে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে স্বাগতিকরা। ৬২তম মিনিটে আক্রমণের ধার বাড়াতে কোচ জেরার্দো মার্তিনো অনুজ্জ্বল পেদ্রোর বদলি হিসেবে মাঠে নামান চোট কাটিয়ে ফেরা ব্রাজিলের তারকা নেইমারকে। পরের মিনিটেই ছয় গজ বক্সের মাঝ থেকে দারুণ এক ভলিতে বল জালে পাঠিয়েছেলেন মেসি। কিন্তু পরিষ্কার অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্প নউয়ের প্রায় এক লাখ বার্সেলোনা সমর্থকের কোলাহলকে ছাড়িয়ে গেল পাঁচশ’র মতো আতলেতিকো ভক্তের গর্জন।

৩৮ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট পাওয়া আতলেতিকোর চেয়ে ৩ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে দুই পরাশক্তি। তবে গোল পার্থক্যে রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে রানার্সআপ বার্সেলোনাই। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর এই প্রথম শূন্য হাতে মৌসুম শেষ করল দলটি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ