আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের তুরুপের তাসে পরিণত হয় শীলঙ্কা। ৬৭ রানে প্রথম সারির আট ব্যাটসম্যনারা হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে অতিথিরা। শেষ পর্যন্ত থিসেরা প্যারেরা হার না মানা ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ১৮০ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়তে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। জয় পেতে হলে বাংলাদেশ দলকে ১৮১ রান করতে হবে।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে অতিথিরা। স্কোর বোর্ডে ৬৭ রান জমা করতেই স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়।
পরপর উইকেট পতন দেখে মনে হয়েছে একশত রান সংগ্রহ করার আগেই গুটিয়ে যাবে লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত থিসেরা প্যারেরা ও সচিত্র সেনানায়েকের দায়ীত্বশীল ব্যাটিংয়ের কল্যাণে বিপদ এড়িয়ে উঠে শ্রীলঙ্কা। নবম উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোরটাকে লম্বা করেন তারা। তাদের দায়িত্ব নির্ভর ব্যাটিংয়ের কল্যানে ১৮০ রান তুলতে সক্ষম হয় সিংহলিরা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। এদিন বাংলাদেশ দলের বোলারদের তোপেরমুখে পড়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে অতিথিরা। রুবেল হোসেনেকে উরিয়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন লঙ্কান হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান তিলকারতেন দিলশান।
প্রথম উইকেটের ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে না উঠতেই ফিরে গেছেন কুশাল প্যারেরার বিদায়। রুবেল হোসেনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরেন প্যারেরা। সাজঘরে ফেরার ১৮ এল দুই চার ও এক ছয়ে ২০ রান করেন। এরপর দ্রুত বিদায় নেন লঙ্কান নির্ভরতার প্রতিক কুমার সাঙ্গাকারাও। পেসার আল আমিনকে সজোরে মারতে গিয়ে আরাফাত সানির তালুবন্ধি হন সাঙ্গাকারা (৮)।
দলের নামিদামি ব্যাটসম্যানরা যখন রীতিমতো উইকেট হারানের মিছিলে তখন ব্যাতিক্রম ছিলেননা তরুণ ক্রিকেটার প্রিয়াঞ্জন, দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস। সাকিব আল হাসানানের ঘুর্ণি বলে বিভ্রান্ত আশন প্রিয়াঞ্জন (৬)।
রান আউটের ফাঁদে পরেন দিনেশ চান্দিমাল। আরাফাত সানির ঘুর্ণি বলে বিভ্রান্ত লঙ্কান অধিনায়ক। অপস্টাম্পের অনেক বাহিরের বল দেখে ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু বলটি টার্ন করে উইকেট ভেঙ্গে দেয়। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫ বলে তিন রান করেন অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস। তার ইনিংসটা দেখে মনে হয়েছে তিনি দলের ব্যাটিং বিপর্যয় এড়াতে চেষ্ঠা করেছিলেন।
একই পরিনতি অলরাউন্ডার নুয়ান কুলাশেকারারও। তিনিও সেই আরাফাত সানির শিকার। সানির করা বলটিকে মোকাবেলা করার জন্য ব্যাট করেন। কিন্তু বল ব্যাটেআঘাত না করে একটু বাঁক নিয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। রানের খাতা খুলার আগেই সাজঘরে নুয়ান প্যারেরা।
শেষ দিকে থিসেরা প্যারো ও সচিত্র সেনানায়েকের দায়ীত্বশীলাতার করণে ১৮০ রানের ফাইটিং স্কো গড়ে শ্রীলঙ্কা। দুই চার ও এক ছয়ে ৩০ রান করে ফেরেন সেনানায়েক। চার বাউন্ডার ও ছয় ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন থিসেরা প্যারেরা। বাংলাদেশ দলের হয়ে দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন আরাফাত সানি, রুবেলা হোসেন ও সাকিব আল হাসান।