টি-টোয়েন্টি সিরিজের মতো ওয়ানডে সিরিজেও পরাজয়। ১৮১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমেও ১৩ রানের হার। নিশ্চিত জয়ের ম্যাচেও পরাজয়ের গ্লানি। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে ১-০তে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল।
সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬৭ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল।
স্বাগতিকদের শুরুতেই অবশ্য ভালো কাটেনি। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশ দলও প্রথমে বিপদে পড়ে। ১৮১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে কোন রান সংগ্রহ করার আগেই ফিরে গেছেন স্বাগতিক এই ওপেনার।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল করতে আসেন লঙ্কান গতির জাদুকর লাথিস মালিঙ্গা। তাকে ব্যাটে বলে করতে গিয়ে স্পিলে থাকা অ্যাঞ্জোলো ম্যাথুসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এনামুল হক বিজয়।
শূণ্য রানে ওপেনার এনামুল হক বিজয়রে পর দলের হাল ধরেন শামসুর রহমান শুভ ও মুমিনুল হক সৌরভ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা ১৪.২ ওভারে ৫.৫১ গড়ে ৭৯ রান সংগ্রহ করেন। থিসেরা প্যারেরাকে পয়েন্টের উপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে দিলশানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৩ বলে সাত বাউন্ডারতে ৪৪ রান করেন মুমিনুল হক সৌরভ।
এপরর ব্যাটিং বিপর্যয়। রান আউটের ফাঁদে পরেন শামসুর রহমান শুভ ও সাকিব আল হাসান। ২০তম ওভারে নুয়ান কুলাশেকারাকে পরপর বাউন্ডারি হাঁকান শুভ। ওভারের চতুর্থ বলে দুরান নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পরেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে ৬২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। একই কায়দায় আউট হন সাকিব আল হাসান (৩)।
পরপর দুই উইকেট পতনের পর বেকাদায় পড়ে যায় বাংলাশে। এরপর শ্লথ গতিতে এগুতে থাকে টাইগাররা। প্রথম ২৩ ওভারে সংগ্রহ ১২০/৪ রান। জিততে হলে পরের ২০ ওভারে ৬০ রান করতে হবে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাসির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার চেষ্ঠা করেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে তারা ৩৭ বল খেলে মাত্র ১৪ রান সংগ্রহ করেন। এক ওভার দুই উইকেট নিয়ে বাংলাশেকে চাপে ফেলে দেন সেনানায়েকে। স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন নাসির। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে ৮ রান করেন। উইকেটে আসতে না আসতেই ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সচিত্র সেনানায়োকের ঘুর্নি বলে বিভ্রান্ত রিয়াদ।
শেষ দিকে সোহাগ গাজীকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। পরপর উইকেট হারানের কারণে সহজ ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যায়।