1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন

নভেম্বরের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের তহবিল ফুরিয়ে যাবে : কার্ল স্কাউ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬৯ Time View

নভেম্বরের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল ফুরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) কার্ল স্কাউ। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে বিশ্বব্যাপী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। তাদের কাজ করার সুযোগ নেই, স্থানীয় সমাজে মেশার সুযোগ নেই, আবার নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে রাখাইনেও ফিরে যাওয়াও উপায় নেই।
ফলে তারা আমাদের সহায়তার ওপর শতভাগ নির্ভরশীল।’

সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্ল স্কাউ এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, যখন সহায়তা দেওয়া বন্ধ করা কিংবা কমিয়ে আনা হয়, তখন বাধ্য হয়ে মানুষ নেতিবাচক উপায়ে বেঁচে থাকার পথ খোঁজে।’

বাংলাদেশের মানুষের উদারতা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতার প্রশংসা করেন স্কাউ বলেন, ‘আমরা সর্বদা আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়গুলোতে বিনিয়োগ করি।
রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, তা কক্সবাজারসহ বাংলাদেশ থেকেই সংগ্রহ করা হয় যাতে এ দেশের অর্থনীতিও উপকৃত হয়।’

‘কিন্তু আমাদের তহবিল ফুরিয়ে আসছে। নভেম্বরের পর এই সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো তহবিল আমাদের হাতে নেই।’

এ কারণেই বাংলাদেশের সরকার, অংশীদার, দাতা ও ডব্লিউএফপির মাঠকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশ সফর করছেন বলে জানান সংস্থাটির উপপরিচালক।

তিনি বলেন, ‘মাসিক ভিত্তিতে আমরা ক্যাম্পের সব মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করি। এটি বন্ধ হলে মানুষ যে শুধু ক্ষুধার কারণেই ভুগবে তা নয়, বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। জীবীকার সন্ধানে অনেকে ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হবেন।’

তহবিল সংকটের মতো গুরুতর সংকট মোকাবেলায় ডব্লিউএফপি এখন কী ভাবছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে স্কাউ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংকট মোকাবেলায় অর্থের জোগানে নানা পথ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যায় কিনা, সে বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

‘রোহিঙ্গাদের জন্য এ পর্যন্ত পাওয়া মোট সহায়তার প্রায় ৬০ শতাংশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আসিয়ানভুক্ত দেশ, সৌদি আরব, কাতার, আমিরাতসহ উপসাগরীয় অঞ্চল ও ওআইসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। এই পরিস্থিতির জন্য রোহিঙ্গারা দায়ী নয়। ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের ওপর নির্ভর করার দাবি রাখে তারা।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ