1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

ঋতুপর্ণা-রূপনাদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-কোচ-স্বজনরা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৪২ Time View

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মিয়ানমারের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জোড়া গোল করে ইতিহাস গড়েছেন রাঙামাটির কৃতি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা। তার গোলেই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল পৌঁছে গেছে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে। জাতীয় দলের আরেক গর্ব, গোলকিপার রূপনা চাকমাও ছিলেন দলের নির্ভরতার প্রতীক। তাদের এই যুগান্তকারী সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পুরো রাঙামাটি—বিশেষ করে শিক্ষক, কোচ ও স্বজনরা।

ঋতুপর্ণা ও রূপনাদের গড়ে তোলার পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন কোচ শান্তিমনি চাকমা। আবেগ জড়ানো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ঋতুপর্ণা, মনিকাদের সাফল্যে আমি গর্বিত। ওরা যদি এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, তাহলে অনেক দূর যাবে। ওদের দেখে আজ পাড়ার শিশুরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
আমার আবেগ ভাষায় বোঝানো কঠিন। ছোটবেলার ঋতু আজ দেশের বড় তারকা, এটা ভাবলেই গর্বে বুক ভরে ওঠে।’

ঋতুপর্ণা ও মনিকার স্কুল ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাদের মেন্টর চন্দ্রা দেওয়ান বলেন, ‘আমার গর্বের নাম ঋতুপর্ণা-মনিকা। দেশের হয়ে ওদের খেলতে দেখা আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।
প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ঋতুপর্ণা গোল করে, এই ম্যাচেও করল—এই গোলেই দেশ জিতেছে। আমরা খুবই গর্বিত। তবে ওর মা বর্তমানে অসুস্থ, সবার প্রতি অনুরোধ—তার জন্য দোয়া করবেন।’

ঋতুপর্ণার জীবন ছিল সংগ্রামের গল্প। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন, কিছুদিন আগে হারিয়েছেন ভাইকেও।
বর্তমানে তাদের অভিভাবক বোনজামাই সুদিপ চাকমা, যিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি বলেন, ‘ঋতুপর্ণার সাফল্যে আমি কতটা খুশি, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমাদের পরিবার সবসময় তাকে সমর্থন দিয়েছে। ওর মা খুব অসুস্থ, কিন্তু মেয়ের এমন অর্জনে চোখে জল নিয়ে তিনি আজও হাসছেন। ওর এই অবস্থানে পৌঁছানো আমাদের পরিবারের জন্য পরম পাওয়া।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ