আমলের ফলাফল কবর থেকেই শুরু হবে

আমলের ফলাফল কবর থেকেই শুরু হবে

মানুষের আমলের ফলাফল প্রাপ্তি কবর থেকেই শুরু হবে। তাই মুমিন মুসলমানকে কবরের জীবন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমলি জিন্দেগি গড়ে তুলতে হবে। কবর হচ্ছে পরকালীন জীবনের প্রথম ঘাঁটি। এ ঘাঁটি যদি সুন্দরভাবে, সম্মানের সঙ্গে অতিক্রম করা যায়, তা হলে পরবর্তী ঘাঁটিসমূহ সহজ হয়ে যাবে। কবরের অবস্থা দেখেই বোঝা যাবে পরবর্তী জীবন কীভাবে যাবে। কবর কারও জন্য হবে রিসিপশন কক্ষের মতো, আর কারও জন্য হবে থানা হাজতখানার মতো। যারা দুনিয়াতে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল (সা.) এর হুকুম-আহকাম মেনে চলবে এবং ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে আল্লাহতায়ালা কবরে তাদের ফেরেশতাদের মুখোমুখি হওয়ার সময় সুদৃঢ় রাখবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা মুমিন বান্দাদের ইহকাল ও পরকালে (কবরে) দৃঢ় বাণী তথা কালেমায়ে তাইয়্যেবা দ্বারা সুদৃঢ় রাখবেন।’

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আখিরাতের মঞ্জিলসমূহের মধ্যে কবর হলো প্রথম মঞ্জিল যদি কেউ এর বিপদ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে তাহলে পরবর্তী মঞ্জিলসমূহ তার পক্ষে সহজতর হবে। (তিরমিজি) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘মৃত ব্যক্তি কবরের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায় আশ্রয় প্রার্থনাকারীর মতো থাকে। ওই সময় তার পিতামাতা, ভাই বা কোনো বন্ধুর সাড়া লাভের জন্য আকুলভাবে অপেক্ষা করতে থাকে’ (বায়হাকি)।

ইবাদত বন্দেগিতে অলসতা এবং আল্লাহর হক ক্ষুণ্ন করার জন্য যেরূপ কবর ও হাশরে শাস্তি ভোগ করতে হবে, তেমনি বান্দার হক ক্ষুণ্ন করার জন্যও কবরে শাস্তি ভোগ করতে হবে। সে হক এককভাবে ক্ষুণ্ন করা হোক বা সমষ্টিগতভাবে ক্ষুণ্ন করা হোক। আজকাল মানুষের অতি মুনাফা এবং নিজেদের জাগতিক জীবনকে অতিমাত্রায় সফল করার জন্য পরিবেশ দূষণ করে শিল্পকারখানার বর্জ্য ও অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন করে যেভাবে ধনিক শ্রেণী এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো সাধারণ ও নিরীহ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে এটিও মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করার জঘন্য অপরাধ।

এ জন্যও মহান আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে এবং কবরে-হাশরে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমানোর জন্য পরিবেশ দূষণের মতো জঘন্য অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ধনিক শ্রেণী ও অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোকে এসব ব্যাপারে সচেতন করার জন্য সোচ্চার হতে হবে। পৃথিবীর প্রথম ঘর কাবা শরিফ যা আল্লাহপাক মক্কা শরিফে স্থাপন করেন। সেদিকে মুখ করে নামাজ পড়া ফরজ। কাবা মুসলিম মিল্লাতের কেবলা।

রাসূল (সা.) ফরমান, যে ব্যক্তি আমার রওজা শরিফ জিয়ারত করে তার জন্য সুপারিশ করা আমার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ফেতনা ফ্যাসাদ ও সন্ত্রাস সমর্থন করে না। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পরে ঘূর্ণিঝড়ে নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।

ইসলামী জগত