‘উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

‘উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিভিল রেজিস্ট্রেশন বা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন যে কোনো দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে পৌঁছানোর জন্য খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি-২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং কর্মপরিকল্পনা ত্বরান্বিত করতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স বা সিআরভিএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই দেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রফেশনালদের তৃতীয় আঞ্চলিক কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।
তাজুল ইসলাম বলেন, দ্রুত নগরায়নে দেশের শহরগুলোতে কত মানুষ বসবাস করছে সে পরিসংখ্যান আমাদের নীতি প্রণয়নে সহায়তা করে থাকে। তা ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণও অবদান সারা বিশ্বে স্বীকৃত। সিভিল রেজিস্ট্রেশন নারী-পুরুষের নানা ধরনের তথ্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইউনিসেফ ও ইউএন এসক্যাপকে দক্ষিণ এশিয়ার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ সিআরভিএসকে শক্তিশালী করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ আঞ্চলিক উন্নয়নে ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণায় ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের তথ্য পর্যালোচনা, সমস্যা ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সিভিল রেজিস্ট্রেশন এবং অত্যাবশ্যক পরিসংখ্যানসহ আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার সিভিল রেজিস্ট্রেশন প্রফেশনাল বা সিআরএইট হলো একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক যারা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল,পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার নাগরিক নিবন্ধনের সাথে কাজ করে।
দক্ষিণ এশিয়ার জাতিসংঘের শিশু তহবিলের আঞ্চলিক কার্যালয় (ইউনিসেফ রোসা) এবং জাতিসংঘের এশিয়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন গ্রুপটিকে সহায়তা করে।
এই নেটওয়ার্ক টি ২০১৮ সালে গঠিত হয় এবং নেটওয়ার্কের দুটি সভা অনুষ্ঠিত। ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এবারের আঞ্চলিক সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে এই দশকের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।

রাজনীতি শীর্ষ খবর