টেলিটকের কাছে পাওনা ১৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা : মোস্তাফা জব্বার

টেলিটকের কাছে পাওনা ১৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা : মোস্তাফা জব্বার

রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশে লিমিটেডের কাছে সরকারের পাওনা ১৬৯৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মোস্তফা জব্বার।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, টেলিটকের কাছে পাওনা টাকার মধ্যে এক হাজার ৫৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ৩ জি স্পেকট্রাম এসাইনমেন্ট ফি বাবদ। স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ২৭ কোটি ১৫ লাখ, রেভিনিউ শেয়ার বাবদ ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ও এসওএফ বাবদ ৪৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জানান, গ্রামীণফোনের কাছ পাওনা ১০ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৩৫ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ৭২৯ কোটি ২৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের নিলামে বরাদ্দকৃত তরঙ্গের দ্বিতীয় কিস্তি এবং ২০২২ সালের তরঙ্গ নিলামের ডাউন পেমেন্ট বাবদ বাংলালিংকের ২৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ টাকা পাওনা আছে।
সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা বলে জানান তিনি।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইস্যুকৃত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা কলসেন্টার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭৯টি। অপারেশনাল কল সেন্টারের সংখ্যা ৬৮টি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক কল সেন্টার ৪৫টি, অভ্যন্তরীণ কল সেন্টারের সংখ্যা ২৩টি।’
ডাক অধিদফতরের প্রচলিত অর্থে কোনও কল সেন্টার নেই বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেশের ডাকঘরগুলোকে কল সেন্টারে রূপান্তরের পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। সবে ডাকঘরে এ ধরনের কল সেন্টার তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এছাড়াও ডাক বিভাগের প্রতিটি ইউনিটের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার নাম ও টেলিফোন নম্বর ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে।’
চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যান্ডউইথ রফতানি বিষয়টির সত্যতা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আইপি ট্রানজিট লিজ প্রদান সংক্রান্ত একটি চুক্তি ২০১৫ সালের ৬ জুন সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ হতে লিজ প্রদান করা হয়। বিএসসিসিএল বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিএসএনএলকে ত্রিপুরায় ২০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রফতানি করছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর