1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়নি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২
  • ৭০ Time View

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিতকরণ এবং নতুন শিল্প স্থাপনে এসব জমি লিজ দেওয়ার বিষয়ে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির প্রথম বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বেসরকারিকরণ কমিশন কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মির্জা আবদুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রাথমিকভাবে বেসরকারিকরণ কমিশন যে ৩৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ও উদ্বৃত্ত জমি চিহ্নিত করেছে, সেগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় প্রকৃত উদ্বৃত্ত জমির পরিমাণ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো যাতে কমিটির আগামী বৈঠকের আগেই কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ পাঠায় সেজন্যে বৈঠকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সুপারিশ পাওয়া গেছে, যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মির্জা আবদুল জলিল জানান, কাজটি সম্পন্ন করার জন্য কমিটিকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই অলাভজনক এবং অধিকাংশই বন্ধ। এর মধ্যে যেগুলো চালু আছে সেগুলোর অব্যবহৃত জমি লিজ প্রদানে হয়তো কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে কারণে বন্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবহৃত জমি আগে লিজ প্রদানের বিষয়ে একমত হয়েছে কমিটি।

তিনি জানান, কমিশনের জরিপ অনুযায়ী চিহ্নিত ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত জমির পরিমাণ ১ হাজার ২৮৮ একর। গড়ে ৫ একর করে ধরলে এ পরিমাণ জমিতে ২৫৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব। সরকারের হাতে এখনো ১২৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোর প্রায় সবগুলোই অলাভজনক। পর্যায়ক্রমে এগুলোর অব্যবহৃত জমিও লিজ দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গক্রমে মির্জা আবদুল জলিল আরো বলেন, শিল্পায়নের জন্য দেশে জমির চাহিদা রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা জমির অভাবে কৃষি জমিতে শিল্প স্থাপন করছেন। ফলে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। এ উদ্যোগটি নেওয়া হলে কৃষি জমি রক্ষা পাবে, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে এবং উদ্বৃত্ত জমি যেগুলো সরকারের কোনো কাজে আসছে না বা যার দ্বারা কোনো আয় হচ্ছে না, সেখান থেকে বছরে সরকারের প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকা আয় হতে পারে। যা দিয়ে সরকারের অনেক প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানো সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ