1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন

বন্দুকযুদ্ধে সহযোগীসহ ডাকাত শহীদ নিহত

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২
  • ৭২ Time View

রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে কয়েকবার ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শহীদ(৪২) সহযোগীসহ নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সূত্রাপুর থানাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব ও সুত্রাপুর থানা সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব ১০ ও সদর দপ্তরের একটি বিশেষ দল ঐ এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছিল। সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত শহীদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ২০মিনিট বন্দুক যুদ্ধের পর র‌্যাব সদস্যরা ডাকাদ শহীদসহ আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে।

সূত্রাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ ২টি অস্ত্র উদ্ধারের কথাও নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাবের অভিযান প্রসঙ্গে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জানান, ডাকাত শহীদ তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে সে আত্মগোপনে ছিল। আমাদের কাছে খবর ছিল সে ২দিন আগে ভারত হয়ে দেশে এসেছে। বুধবার দলবল নিয়ে পুরান ঢাকায় ঢুকবে। এ কারণে ৪টি স্পটে র‌্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ তার সহযোগীসহ মোটর সাইকেলযোগে সূত্রাপুর থেকে লক্ষ্মীবাজারে আসার পথে একরামপুর মোড়ে র‌্যাব তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এসময় তাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ডাকাত শহীদ ও তার সহযোগী কালাম ওরফে কালু নিহত হয়। উদ্ধার করা হয় ২টি অস্ত্র।

বন্দুকযদ্ধের ননাটক করে ডাকাত শহীদকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলো কী না এমন প্রশ্নের জবাবে সোহায়েল বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার দ‍াবি উভয়পক্ষে গুলি বিনিময় হয়েছে।

সূত্রাপুর থানার পুলিশ জানায়, নিহত ডাকাত শহীদ ও তার সহযোগীর লাশ উদ্ধার করে মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত ১০ বছরে যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর ও পুরান ঢাকার কোতোয়ালিসহ নগরীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে কয়েক ডজন মামলা। এর মধ্যে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, ছাত্রদল নেতা ছগির আহমেদ, যুবলীগ নেতা শিমুল এবং কমিশনার আহাম্মদ হোসেন ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রেমকৃষ্ণ হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য।

২০০৮ সালের ২০ জানুয়ারি ভারতের উড়িষ্যার একটি গেস্ট হাউস থেকে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর সে তাদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে আসে। পরে সে নেপালে আশ্রয় নেয়। ২০০৪ সালে র‌্যাবের ক্রসফায়ারের ভয়ে ডাকাত শহীদ ভারতে আত্মগোপন করে। তবে সর্বশেষ ২০০৫ সালের দিকে তাকে পুরান ঢাকায় দেখা যায়।

এদিকে ডাকাত শহীদ র‌্যাবের বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে এমন খবরে পুরান ঢাকাবাসীকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে। রাত দেড়টার দিকে কয়েকটি স্থানে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উচছাস‍ বেশি ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন অন্তত: ডাকাত শহীদের নামে এখন আর কেউ চাঁদা চাইবে না।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ