1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন

আজিজ হত্যা : একজনের ফাঁসি, আরেকজনের যাবজ্জীবন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৫ Time View

রাজধানীর লালবাগের কাঁচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় আসামি জয়নাল সরকারের মৃত্যুদণ্ড ও রুস্তম আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি জয়নালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রুস্তমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এই দুই আসামিই পলাতক।

এ মামলায় জামাই ফারুক ও ইদ্রিস জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন। এ দুজন কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

গত ১৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেন। কিন্তু ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত ১ এপ্রিল ধার্য করেন। এর পর করোনাভাইরাসের কারণে আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা হয়নি।

১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। এর ১২ দিন পর একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু মিয়া।

মামলায় বলা হয়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন আব্দুল আজিজ চাকলাদার। তারা দুজন আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তদন্ত চলাকালে রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড্ডি উদ্ধার করা হয়।

মামলাটিতে ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই মো. আব্দুর রাকিব খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। তারা হলেন খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী।

চার্জশিটভূক্ত সাত আসামির মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০০০ সালেই এই মামলার চার্জগঠন করা হয়। এর পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ উঠে গেলে ২০১৭ সালে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জন ও রাজসাক্ষী হিসেবে নূরে আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ