ষড়যন্ত্র নয়, সমন্বয় ও সমঝোতার পথেই কল্যাণ মাহবুব-উল-আলম খান

ষড়যন্ত্র নয়, সমন্বয় ও সমঝোতার পথেই কল্যাণ মাহবুব-উল-আলম খান

কয়েক দিন আগে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে উনসত্তুরের গন আন্দোলনের মহানায়ক জনাব তোফায়েল আহম্মদ ইতিহাসের এক অজানা তথ্য জানালেন। ঘটনাটি ১৯৭৫ সনে জাতির জনক হত্যার কিছুদিন আগের। জনাব তোফায়েল আহম্মদ তখন বঙ্গবন্ধুর বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রীর পদমর্যাদায়। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকাকালে জিয়াউর রহমান প্রায় সময় তাঁর কাছে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য ১০ মিনিট সময়ের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। একদিন ছোট্ট একটি কোরআন শরিফ এনে তার উপর হাত রেখে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সামনে বলেছিলেন, আমি এখানেই থাকতে চাই, আপনাদের সঙ্গে। বিএনপি নেতারা বলে থাকেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। আসলে জিয়াউর রহমান সৌভাগ্যবান যে তিনি ঐ সময় চট্টগ্রামে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর হয়েই কাজ করেছেন। জীবদ্দশায় জিয়াউর রহমান কোনদিন বলেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করে মুক্তি দিয়েছিল। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন এ নেতার মতো বড় হৃদয়ের মানুষ আর জন্ম হবে না। কিন্তু এই বাংলার মীর জাফররা তাকে হত্যা করল (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১১/০৯/২০১১)। ঐ ঘটনার কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঠিক এমনি ভাবেই ইতিহাসের মীরজাফর নবাব সিরাজদ্দৌল্লাহকে হত্যার আগে বেঈমানী করবেননা বলে কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন। নবাব সিরাজদ্দৌল্লাহর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করল দুই বেঈমান মীরজাফর মোশতাক ও জিয়া। তারা একবৃন্তে দুটি ফুল। সাথে ডালিম, ফারুখ, রশিদ, নুর, পাশা, শাহরিয়ার, মহিউদ্দিন, রাশেদ, কিসমত, মাজেদ, হুদা, শরফুল, নাজমুল ও মোসলে উদ্দিন সহ কতিপয় কুলাঙ্গার। বাস্তব অপারেশনে কুলাঙ্গারদের পাঠিয়ে জিয়া পবিত্র কোরআন হাতে শপথ নেওয়া সেনাপতি মীরজাফরের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করলেন। বিচিত্র মানুষের মন। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে ধূলিস্যাৎ করা হলো। দেশকে পাকিস্তানী স্টাইলে ফিরিয়ে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শুরু হল। কুলাঙ্গাররা বঙ্গভবনে বসে সুরা-সাকি আর আনন্দে রসে মশগুল হলো। আমাদের মহান অর্জনকে পদদলিত করা হলো। লক্ষ শহীদের আত্মার অবমাননা করা হলো। কিন্তু কালের ইতিহাস সব ঘটনা, দুর্ঘটনার নীরব স্বাক্ষী। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। সত্য প্রকাশ হবেই। সত্য চিরন্তন।

জাতির জনক হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সনে জাতির জনকের কন্যার হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শত প্রতিকুলতার মধ্যেও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ঐ সরকার ক্ষমতায় ছিল। ১৯৭৫ সনের পর ঐ সময়টুকু বাঙালী জাতি উন্নয়ন দেখেছিল, স্বপ্ন দেখেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অনুধাবন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০০১ এর সালসা নির্বাচনের কালো থাবায় আবার সব ওলট পালট হয়ে গেল। বিচারপতি লতিফুর রহমান জাতির কাছে চরম বেঈমানী করলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই জাতীয় বিচারপতিগন জাতির সুষ্ঠু গতিধারাকে বারবার ব্যাহত করেছেন। এহেন চরিত্র গুলিই বিচারপতি নামের কলংক। ঐ নির্বাচনে জামাত-বিএনপি সমন্বয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এল তাদের কর্মকান্ড দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। এমন জালিম সরকার পৃথিবীর ইতিহাসে আর এসেছে কিনা জানা নেই। রাষ্ট্রযন্ত্রের এমন কোন স্থান নেই যেখানে এদের দুঃশাসন হতে মুক্তি পেয়েছে। রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। উন্নয়ন বন্ধ হয়েছে। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠিত হয়েছে। সম্পদ চলে গেছে একটি পরিবার ও গুষ্ঠির হাতে। সরকারের হাতে সাধারণ মানুষের এমন নির্যাতনের নজীর আর কোথাও কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই অপরাধে হত্যা, নির্যাতন, অপমান এবং ভিটে মাটি ছাড়া হতে হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। হাওয়া ভবন ও খোয়াব ভবনের মালিকেরা লুণ্ঠন করেছে, পাচার করেছে জনগণের সম্পদ। রাজনীতি, প্রশাসন, সংক্রামক ব্যাধিতে ছেয়ে গেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি জামাতের স্টীম রুলারে পিষ্ঠ হয়েছে মানুষের মৌলিক অধিকার। দেশ ও জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বিচারের বানী নীরবে নিভৃতে কেঁদেছে। ঐ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী হতে আরম্ভ করে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত ব্যাক্তিরা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। সরকারের প্রধানমন্ত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া, অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানসহ তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী অপ্রদর্শিত আয়ের কর দিয়েছেন। যে দলের প্রধানমন্ত্রী অপ্রদর্শিত আয়ের কর দেন তাহলে বাকি নেতাকর্মীর কর্মকান্ড সহজেই অনুমেয়। অপ্রদর্শিত আয় কি? অপ্রদর্শিত আয় মানে ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি। এই যদি দলের প্রধানের কাজ হয় তাহলে জনগণ কোথায় যাবে? যে নীল নকসা বিএনপি-জামাত প্রণয়ন করেছিল ২২ ফেব্র“য়ারী ২০০৭ এর নির্ধারিত নির্বাচনের জন্য তারা যদি তা করতে পারত, তাহলে এদেশের মানুষের অবস্থান কি হতো? কিন্তু এদেশের সচেতন মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণ তাদের নীল নকসা রুখে দাঁড়াল। স্বৈরচারী, লুটেরা সবকারের সকল রূপকল্পকে ধূলিস্যাৎ করে দিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার আজ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ প্রায় তিন বছর হতে চলল। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার সুষ্ঠু গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা বোধগম্য হচ্ছে না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কেমন ধীরগতি মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব হলো দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উহা কি সঠিকভাবে, যথা সময়ে সম্পন্ন করছেন? না হলে কেন উহা হচ্ছে না। এর কারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে খুঁজে বের করতে হবে। পত্রিকায় খবরে প্রকাশ জেলে যুদ্ধাপরাধীরা জেল কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে রাজার হালে আছেন। তাদের সহায়তায় মোবাইলে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ রক্ষা করছেন, আলাপ করছেন। প্রিজন সেলে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক ও মোবাইল ফোনে কথা বলছেন পিল খানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যাকান্ড মামলার অন্যতম আসামী কারাবন্দি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। প্রিজন সেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মিঃ পিন্টু। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী তার সাথে স্বাক্ষাত ও বৈঠক করেছেন। এহেন ঘটনা আরো কত স্থানে ঘটছে কে জানে? এই যদি অবস্থা হয় তাহলে বুঝুন মহাজোট সরকারের প্রশাসন কিভাবে চলছে? বিএনপি-জামাত ভাবধারার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দলের লোকজন বিভিন্ন স্থানে ঘাপটি মেরে আছে এবং গোপনে, সন্তর্পনে বর্তমান সরকারকে স্যাবোটেজ করে যাচ্ছে। সব তথ্য বের হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীরা যত প্রকার ষড়যন্ত্র আছে জেল কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা/কর্মচারীর ছত্র ছায়ায় নির্বিঘেœ তাদের কু-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। জেলখানায় এই ঘটনা ধরা পড়ায় প্রকাশ পেল। নাহলে এই কাজ অবাধেই চলত। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই বিরোধী শক্তি, জামাত-বিএনপির অপতৎপরতাকে সহায়তা করে যাচ্ছে। এরা ময়ূর পুচ্ছ পরে নিজেদের আড়াল করে রাখছে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা আশা করি সচেতন হবেন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। জেলখানার এই ঘটনা হতে সকলকে সচেতন হতে ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে সবিনয় অনুরোধ জানাই। যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। নইলে সমূহ বিপদ হতে কেউ রক্ষা পাবেননা। সরকার আওয়ামীলীগের আর ক্ষমতায় যদি এহেন প্রেতাত্মারা থাকেন তাহলে নির্বাচনী আঙ্গীকার কোনদিন বাস্তবায়ন হবে না। সরকারকে এই সত্য অনুধাবন করতে হবে। নীতি নির্ধারকদের, উপদেষ্টাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে উপযুক্ত উপদেশ ও পরামর্শ তুলে ধরতে হবে। রাজনীতিতে, প্রশাসনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন বাহিনীতে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই চিত্র লুকিয়ে আছে। সময়ের কাজ সময় মতো না হলে অসময়ে হুস হলে বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। গত ১৫/০৯/২০১১ সংখ্যায় “তাহলে তারা কেন আছেন” শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং যথা সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘাপটি মেরে থাকা এজেন্টদের হাত হতে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন না করতে পারলে জনগন রুখে দাঁড়াবে। এই চিন্তা ও চেতনা ক্ষমতাসীনদের উপলব্ধি করা উচিৎ। গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদের ভাসিয়ে দিলে জনগণ কাউকে ক্ষমা করবেনা। অভিজ্ঞ, সৎ রাজনীতিবিদ এবং দক্ষ ও কমিটেড আমলা দিয়ে প্রশাসনকে সাজাতে হবে। জেলখানার ঘটনা হতে শিক্ষা নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রেই সব তলিয়ে দেখতে হবে।

বিএনপি নেতারা এখন বলা শুরু করেছেন আওয়ামীলীগ বিএনপিকে ভাঙ্গনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেমন দেউলিয়া হলে এমন উচ্চারণ করতে পারে বুঝুন। তারা বলছেন আওয়ামীলীগের অনেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। নানাবিধ অসত্য, অসাড় কথা বলে তারা ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগের দক্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এই অপপ্রয়াস। সকল ভুলভ্রান্তি ঘুচিয়ে সরকারকে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করি সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। বর্তমান অবস্থায় রাষ্ট্রপরিচালনায় সকলের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা অতীব জরুরি। বিএনপি নেতা জনাব নাজমুল হুদা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন; বঙ্গনন্ধুই জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালী জাতিকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। ঐ ভাষণের মাধ্যমেই তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যার কারণে তাকে আমি জাতির পিতা বলতে দ্বিধাবোধ করি না। বিএনপি নেতার বোধোদয়ের জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়। এদেশের প্রতিটি মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতা মূল্যবোধ, শ্লোগান ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সকলের হৃদয়কে নাড়া দিক। ক্ষমতাসীন দলের সকল নেতানেত্রীর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অবসান হোক। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়তে হবে উহাই প্রত্যাশা। বিরোধী দলের মানুষদের সত্য ও বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। বাঙালী জাতির ইতিহাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নাম চিরন্তন সত্য। এই সত্যকে মেনে নিয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে প্রত্যাহার করুন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের নির্বাসনে দিন। সত্য ও ন্যায়ের ঝান্ডাকে উচু করে ধরুন। ৭৫ সনের আগে জিয়াউর রহমান পবিত্র কোরআন হাতে নিয়ে জাতির জনকের সাথে দেখা করে বলেছিলেন আমি এখানেই থাকতে চাই, আপনাদের সঙ্গে। বেইমান ও বিশ্বাসঘাতকের বিচার রোজ হাশরের দিন অবশ্যই হবে। বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অনুরোধ জানাই, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু আপনাকে নতুন জীবন দান করেছেন। এখন ভেবে দেখুন আপনি ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামাতের সাথে ঘর করবেন নাকি সকল অপরাধ, ভুলভ্রান্তি শোধরিয়ে জনগণের কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। আসুন সকলে মিলে গড়ে তুলি সুখী, সমৃদ্ধশালী এক আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ। এদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা একসুরে একতানে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত করুক, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা। তুমিকে আমিকে বাঙালী বাঙালী। মহান জাতির মহান নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব। রক্ত দিয়ে এনেছি মোদের প্রিয় এই স্বাধীনতা−যার নাম বাংলাদেশ। সকল ভুল ভ্রান্তি শোধরিয়ে এই বাংলায় রচিত হউক সুখের অমরাবতী। ষড়যন্ত্রের পথ নয় সমঝোতা ও সমন্বয়ের পথেই কল্যাণ।

(লেখক সাবেক সচিব)

পাঠক মতামত