বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এতে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি।
৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার।
উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছেন না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর পড়েছে। এতে আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে। ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে।
ফল ক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, সরকার হঠাৎ করে ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। সেজন্য বাজারে ফলের দাম বেড়ে গেছে। আসছে রমজান মাসে ফলের দাম আরো বেড়ে যাবে। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গরিব মানুষরা ফল খেতে পারবে বলে মনে হয় না। ফলের বাজারে বড় ধরনের সংকট ও তৈরি হতে পারে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, কয়েক মাস ধরে ফলের আমদানি কমে গেছে। এর ওপর সরকার আবার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫০-৬০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। মাত্র কয়েক দিনে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চললে আগামী দিনে দাম বাড়ার পাশাপাশি ফলের সংকট দেখা দিতে পারে।