1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

সিরামিক পণ্যের আমদানিতে ৯৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২ জুন, ২০১২
  • ৮৭ Time View

আন্ডার ইনভয়েসিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সিরামিক পণ্যের আমদানি খাতে গত বছর (২০১১) প্রায় ৯৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু টাইলস আমদানি খাতেই রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ৭৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং-এর হার ২০০ শতাংশেরও বেশি।

দেশের সিরামিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যারস্ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংগঠনের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন ফরহাদ জানান, বিদেশে তৈরি সিরামিক তৈজসপত্র, পাইরেক্স/ওপেল গ্লাস তৈজসপত্র, টাইলস ও স্যানিটেরি ওয়্যার আমদানির নামে কিছু সংখ্যক অসাধু আমদানিকারক প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে।

সিরামিক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০১১ সালের পঞ্জিকা বছরে বিদেশে তৈরি সিরামিক তৈজসপত্র আমদানি খাতে ৩৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা (আন্ডার ইনভয়েসিং-এর হার ২০৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ), পাইরেক্স/ওপেল গ্লাস তৈজসপত্র আমদানি খাতে ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা (আন্ডার ইনভয়েসিং হার ২৬০ দশমিক ৫৪ শতাংশ), টাইলস আমদানি খাতে ৭৪৩ কোটি ৭০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা (আন্ডার ইনভয়েসিং হার ২২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ) এবং স্যানিটেরি ওয়্যার আমদানি খাতে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার টাকা (আন্ডার ইনভয়েসিং হার ৪৬ দশমিক ১২ শতাংশ) রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, স্পেন ও ভারত থেকে এসব সিরামিক পণ্য আমদানি করা হয় বলে অ্যাসোসিয়েশন জানায়।

প্রসঙ্গতঃ মিথ্যা ঘোষণা ও আন্ডার ইনভয়েসিং রোধে বন্দরগুলোতে স্ক্যানার স্থাপন, কাল্পনিক শুল্কায়নের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক শুল্ককর আরোপ না করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে ট্রানজেকশন ভ্যালু ও ডাটা ব্যাংক স্থাপনপূবর্ক বন্দরসমূহকে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

একই সঙ্গে দেশীয় সিরামিক শিল্পকে উৎসাহিত করতে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সিরামিক ও পাইরেক্সের তৈরি তৈজসপত্র, টাইলস ও স্যানিটেরি ওয়্যারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ