ভুল শোধরিয়ে গড়ে তুলতে হবে জনকল্যাণকামী আদর্শ রাষ্ট্র

ভুল শোধরিয়ে গড়ে তুলতে হবে জনকল্যাণকামী আদর্শ রাষ্ট্র

মাহবুব-উল-আলম খান

বিরোধী দলীয় নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া বলেছেন ইলিয়াস আলীকে সরকার গুম করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক। তিনি কি করে জানলেন, বুঝলেন ও ধারণা করলেন বোধগম্য নয়। প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলা অসভ্যতার কাজ। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি নিজেরাই একাজ করেছেন। কেননা যে দল নিজের দলীয় লোক চট্টগ্রামের জামাল উদ্দিনকে গুম করেছেন এবং হত্যা করেছেন এই কালচার তাদের মধ্যেই জাগ্রত। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কারো কোন অনুমান নির্ভর বক্তব্য প্রদান ঠিক নয়। এতে সুষ্ঠু তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে। অবশ্য হালুয়ারুটি আর লুটপাটের সংমিশ্রনে বিভিন্ন চরিত্রের লোকের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি নামক দলটির কাছে আর কি আশা করা যায়। জিয়াউর রহমান একাত্তুরের দালাল, রাজকার, আলবদর, আলশামস, যুদ্ধাপরাধী আর পাকিস্তানী প্রেতাত্মাদের নিয়ে গঠন করেছেন বাংলাদেশ নটরিয়াস পার্টি বিএনপি। একাত্তুরে তারা নির্বিচারে বাঙালী গুম করেছে, হত্যা করেছে। ঐ চরিত্রের লোকদের কাছে এমন কাজই আশা করা যায়। খালেদা জিয়া ১৯৭১ সনের নয়মাস কেণ্টনমেন্টে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে সহবাস করেছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁর সম্যক জ্ঞান আছে ধারণা করা যায়। ১৯৭৫ সনে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমেই এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর পরাজিত শক্তি নেপথ্যে থেকে ২০০৯ এর ২৫ শে ফেব্রুয়ারী হতে এদেশে আবার হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। এর আগে ২১ আগষ্ট ২০০৪ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগ সভায় গ্রেনেড বোমা হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতৃত্ব সমূলে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারপর সৃষ্ট নানাবিধ নাটক দেশবাসী ভুলে যায়নি। এখনো চলছে তাদের ঘৃন্য কর্মকান্ড। বিডিআর হত্যার পর তিনদিন বিরোধী দলীয় নেত্রী নিখোঁজ ছিলেন কোথায় এবং কেন জাতি জানতে চায়। তার ছেলেরা সপরিবারে বাইরে কিভাবে ও কেন থাকছেন। মামলা থাকলে নিজেকে নির্দোষ মনে করলে তাদের ভয়ের তো কিছু নেই। আদালত হতে নির্দোষ প্রমাণিত হলে কারো কিছু করার নেই। ভয়টা কিসের? বছরের পর বছর সপরিবারে বিদেশে থাকা কিভাবে সম্ভব? তাহলে উহাই কি সত্য তারা ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন নামক দুটি দুর্নীতি ভবন করে খাম্বা কোম্পানিসহ অগণিত কোম্পানি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পচার করেছেন এবং ঐ অর্থে এখন রাজার হালে বিদেশে কালাতিপাত করছেন। তারা নাকি দুজনই অসুস্থ। এখন তাদের স্ত্রীগণ ছাড়া উপার্জনের আর কেউ নেই। তারা কি ব্যবসা করছেন জাতি জানতে চায়। তাদের ও কি খালেদা জিয়ার মতো অপ্রদর্শিত আয়ের ব্যবসা আছে? জাতি অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করছে বিরোধী দলীয় নেত্রী কিভাবে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছেন। ২০০১ সনে আইএসআই এর অর্থে তিনি স্ফীত। পাকিস্তানের আদালতে এসব তথ্য প্রকাশিত ও প্রমাণিত। এমন একজন চরিত্র কিভাবে বাংলাদেশে রাজনীতি করেন ভাবলে আশ্চর্য লাগে। তার ৭১ এর ঘটনা কি মওদুদেরা, আনোয়ারেরা, মীর্জারা, খন্দকারেরা, রায়েরা, নজরুলেরা ভুলে গেছেন, জানেননা?

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দিনবদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও অর্জন আছে, কিন্তু আশানুরূপ নয়। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের জন্য বাস্তব ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমান সরকারের কতিপয় অসাবধানতা ও নির্ভুল সিদ্ধান্তের অভাবে কাজের গতি মন্থর। প্রথম ব্যর্থতা প্রশাসনকে সঠিক গতিতে না চালাতে পারা। মন্ত্রী দক্ষ ও চৌকস করতে না পারা। মানুষের মৌলিক চাহিদার সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা বিধান করতে না পারা। নির্বাচনী অঙ্গীকার একে একে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে না পারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। সময় মতো বিচার না হলে কঠিন মাশুল দিতে হবে। ৭১ সনে তারা যেভাবে যে গতিতে আমাদের হত্যা করেছে, আমাদেরকে সে গতিতে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। মন্ত্রীপরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ একটি জগাখিচুড়ী অবস্থা। সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হবেন মন্ত্রী। মন্ত্রীদের প্যারালাল কতিপয় উপদেষ্টা জনগণ চায়না। অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ রাজনৈতিক মন্ত্রী দিয়ে দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয় না। হাতে মাত্র দেড় বছর আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি দক্ষ ও কমিটেড আমলাও প্রয়োজন। খালেদা জিয়া ২০০১ এ ক্ষমতায় এসেই জেষ্ঠ্য, যোগ্য, সৎ, নিষ্ঠাবান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতানয় উদ্ভাসিত কর্মকর্তাদের চাকুরিচ্যুত করেছেন ও পদোন্নতি বঞ্চিত করেছেন। তাদেরকে কোন কাজে লাগানো হয়নি। এসব কেন, কার উপদেশে হয়েছে জানিনা। ঘাপটি মেরে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা অপকর্ম করে যাবেন আপনার সর্বনাশের জন্য তা বুঝতে হবে। এখনো সময় আছে বাকী সময়টুকু এদের কাজে লাগান। অবিলম্বে মন্ত্রীসভাকে  কাটছাট করুন অভিজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত করুন। শুধুমাত্র একজন মতিয়া চৌধুরী ও একজন নুরুল ইসলাম নাহিদ যথেষ্ট নয়। একজন তোফায়েল আহম্মদ, একজন আমিরহোসেন আমু, একজন মোঃ নাসিম, একজন আব্দুল জলিল, একজন ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, একেকটি প্রতিষ্ঠান। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন। মহাজোটের অন্যান্য দল হতে আনিসুল ইসলাম  মাহমুদ, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও মইনউদ্দিন খান বাদল এমন কয়েক জনকেও মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। বর্তমান মন্ত্রীসভার কমপক্ষে  ১০-১২ জনকে বাদ দেয়া অতীব জরুরী। উপদেষ্টাদের আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির কার্যক্রম গ্রহণ করতে আলাদাভাবে বসিয়ে দিন। দেশ চালাবেন মন্ত্রীগণ। উপদেষ্টাগণ আপনাকে আপনার প্রয়োজনে উপদেশ দেবেন। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গতিধারা এভাবেই বিকশিত হবে। রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদগণ। আগন্তুক দিয়ে, টাকার কুমির দিয়ে রাজনীতি হয় না। তাহলে তা হবে বিএনপির চরিত্রের সংমিশ্রণ। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কেন সময় মতো করা হলনা বোধগম্য নয়। একজন বিরোধী চরিত্রের নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের পর তিন বছরের বেশি কেন থাকতে দেয়া হল। সময়মতো নির্বাচন হলে আজ অনেক সুফল পাওয়া যেতো। ২০০৯ এর নির্বাচন ২০১২ তে ও করা যাচ্ছে না। দুভাগ করে অনর্থক সমালোচনা সৃষ্টি করা হলো। জানিনা এ পরামর্শ কার। কে দলের ভিতরে স্যাবোটেজ করে চলেছে। ক্ষতি যা হবার তারা করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাকী সময়কালে আপনাকে আরো দৃঢ়তার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে হবে, জাগিয়ে তুলতে হবে। বিদ্যুৎ সেক্টরে গভীর মনোনিবেশ করতে হবে। জ্বালানি সেক্টরে নজর দিতে হবে।  আগামী নির্বাচন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সফলতার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিদ্যুৎ সেক্টরে গঠিত উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ক্ষেত্রে গঠিত কোম্পানি সমূহের আইন ও সার্ভিস রুলকে উপেক্ষা করে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরিচালনা পরিষদের ক্ষমতাকে কেন খর্ব করা হলো? একটি অশুভ চিন্তা এখানে কাজ করেছে। বোর্ডের ক্ষমতাকে খর্ব করে মন্ত্রণালয় কাজ নিজের হাতে নিয়ে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর ও কোন সিদ্ধান্ত দিতে সময় নেয়া হয়েছে। বোর্ডের সুপারিশ উপেক্ষা করে নিজের খেয়াল খুশি মতো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের কাজ চলবে বিদ্যুৎ গতিতে। সেখানে এই বিলম্বিতা এই সেক্টরে ইচ্ছাকৃত স্যাবটেজ। সরকার আওয়ামীলীগের আর নীতি নির্ধারণী পদের আমলা যদি থাকে বিরোধী চিন্তার তাহলে সুষ্ঠু কাজ হবে কি? মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন ও বোর্ড গঠনের গাইড লাইনকে অবজ্ঞা করে কেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণকে বোর্ড চেয়ারম্যান করা হলো বোধগম্য নয়। গাইড লাইন অনুসারে নিয়োজিত জেষ্ঠ্য ও দক্ষ সাবেক সচিবদের চেয়ারম্যান পদ হতে কেন এত শীঘ্রই বাদ দেয়া হলো? মন্ত্রণালয়ে সচিব/অতিরিক্ত সচিবগণ যেখানে নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে একেকজনকে একাধিক কোম্পানির বোর্ড চেয়ারম্যান কেন করা হলো? তাই মনে হচ্ছে সরকার আওয়ামীলীগের আর ক্ষমতায় বিএনপি- জামাত। বিষয়টি তলিয়ে দেখা প্রয়োজন। কে বা কারা এই আত্মঘাতী পরামর্শ ও উপদেশ দিল বোধগম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোম্পানি সমূহের নির্দিষ্ট আইন সার্ভিস রুল ও গাইড লাইন মেনে কোম্পানিকে চলতে দিন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের পরিচালনা পর্ষদের চেয়াম্যানগণ বহাল আছে। শুধু বিদ্যুৎ সেক্টরে কেন আইন অমান্য করা হলো, কোন স্বার্থে? গত ২/১/২০১২ তারিখে অব্যাহতি প্রদানকৃত চেয়ারম্যানদের সাথে বিদ্যুৎ মন্ত্রী হিসেবে একটি আলোচনার অতীব প্রয়োজন বলে মনে করি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অযাচিত , অনাহুত ও অশুভ উদ্দেশ্যে হস্তক্ষেপ হতে কোম্পানিকে রক্ষা করুন। বিকেন্দ্রীকৃত ক্ষমতা কুক্ষীগত করে মাসের পর মাস সিদ্ধান্ত প্রদানে বিলম্ব করে যে ক্ষতি করা হচ্ছে মাননীয় বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী উহা জানেন কিনা জানিনা। কাল নাটকের ইবলিসদের চিনতে হবে এবং সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কুইক রেন্টাল এর সাথে স্থায়ী বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে ২০০৯ হতে আরো মনোযোগী বেশি হওয়া প্রয়োজন ছিল। তাহলে এই তিন বছরে অনেক সুফল পাওয়া যেত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয় গুলি তলিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সব দায়দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর উপরই বর্তাবে। মাননীয় উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও সদ্য অব্যাহতি প্রদানকৃত চেয়ারম্যানদের ডাকুন আলোচনায় দেখবেন কোথায়, কিভাবে কাজের গতি নষ্ট করা হচ্ছে। কিভাবে সুষ্ঠু কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকারের শেষ পর্যায়ে এসে খালেদা নিজামীর প্রেতাত্মারা সরকারের বিদ্যুৎ সেক্টরের ১২টা বাজিয়ে অট্টহাসি হাসবে।

নির্বাচনী ইশতেহার পর্যালোচনা করে এখন সময় হল দ্রুত বাস্তবায়ন। ১৯৭১ সনে যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে জাতির জনকের বজ্রকন্ঠের আহ্বানে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার স্বাদ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় না থাকতে পারলে সে স্বপ্ন স্বপ্লই থেকে যাবে। ক্ষমতা যদি স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে চলে যায়, তাহলে লক্ষ শহীদের আত্মা আমাদের ক্ষমা করবেনা। রাজাকারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে বেইমান জিয়াউর রহমান। তার সৃষ্ট দল ও অনুসারীরা এখন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শত ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার বাংলাদেশে রাজাকার, দালাল, যুদ্ধাপরাধী ও আইএসআই এর চরদের স্থান নেই। এই মুহুর্তে প্রয়োজন দক্ষতা ও গতিশীলতা আনায়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন। তাহলেই গড়ে উঠবে সুশাসন ও আলোকিত প্রশাসন। দক্ষ, অভিজ্ঞ মন্ত্রী এবং কমিটেড আমলাদের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও উন্নয়ন। উন্নয়নের জোয়ারে জনগণ জেগে উঠবে নতুন প্রাণের ছোঁয়ায়। জাতির জনকের আজীবন স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে আমাদের সকলের প্রয়াস সফল হোক উহাই জনগণের প্রত্যাশা। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০১৪ সালে নির্বাচন। সে নির্বাচনে অবশ্যই জিততে হবে। ২০২১ রূপকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে সংসদে বসতে হবে। উদার মনে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানে আসতে হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হবে সরকার। বিকশিত হবে সুষ্ঠু ধারা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া। সে চিন্তা ও চেতনায় সকল কর্মকান্ড যাতে এগিয়ে চলে এজন্য সরকারকে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের জীবনের শেষ প্রান্তে আসুন আগামী প্রজšে§র জন্য রেখে যাই একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশ ও জাতি এই প্রতীক্ষায় তাকিয়ে আছে। ভুল হতে শিক্ষা নিতে হবে-গড়ে তুলতে হবে জনকল্যাণকামী একটি আদর্শ রাষ্ট্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই এদেশের দুঃখী মানুষের শেষ ভরসাস্থল। সত্য ও সুন্দরের জয় হউক।

(লেখক সাবেক সচিব)

পাঠক মতামত