1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

আগামী বাজেটে জিডিপি ৭.২ শতাংশ: মুহিত

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৪ মে, ২০১২
  • ৫৯ Time View

আগামী অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সম্পাদকদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনাকালে একথা বলেন তিনি।

ভর্তুকি বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের অধিক ঋণ নেওয়ার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে বলেও স্বীকার করেন মুহিত।

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে এবং এর চাপ সাধারণ মানুষের ওপর পড়ে। ভর্তুকি বেড়ে যাওয়ার কারণেই সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। তবে ভর্তুকি বাদ দেওয়া হবে না। কারণ সরকারি কর্মকাণ্ডের পুরোটাই ভর্তুকি। আগামীতে ভর্তুকি কমানো হবে।’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেল আমদানিতে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত অভ্যন্তরীণ জ্বালানির মূল্যের সমন্বয় করা উচিত। এর একটি নীতিমালাও করা হচ্ছে, কিন্তু কবে নাগাদ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে তা জানি না। ইতিমধ্যে কয়েক দফা দাম বাড়িয়ে বিদ্যুতের মূল্যের কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেট নির্বাচনমুখি নয়, বরং দেশের স্বার্থ ও জনস্বার্থমুখি হবে।’

মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনতে আগামী বাজেটে ভর্তুকি কমানো, সরকারের ব্যাংক ঋণ কমানো, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রায় সব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়বে বলে জানান তিনি। এছাড়া দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বাজেটে একটা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মতো দেশে বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো খুবই প্রয়োজন। কিন্তু দক্ষতার অভাবে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক সাহায্য পেয়েও আমরা তা খরচ করতে পারছি না। আর এ কারণে জরিমানাও দিতে হচ্ছে।’

কালো টাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, ‘তিনি তো আর নীতি নির্ধারক নন।’

প্রসঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক
আলোচনায় গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এবং এর প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বিশ্বব্যাংক এক পয়সাও দেয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক সরকার দখল করেছে, এটি বাজে কথা। গ্রামীণ ব্যাংক একটি সরকারি ব্যাংক। এখানে সরকারের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ এ সরকারের গৃহীত একটি উদ্যোগ। দারিদ্র বিমোচনে এটা এক ধরনের পদক্ষেপ। ব্র্যাক ও আশাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে। কিন্তু তাদের নিয়ে তো কোনো অভিযোগ উঠছে না।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ