1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে বিনিয়োগের বিষয়ে শেভরনের জবাব

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭
  • ২৪ Time View

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত ২৫ আগস্ট বেশ কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনারা। সেখানে অভিযানের নামে জাতিগত নিধন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ।

বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ তেল কোম্পানি শেভরনের বিরুদ্ধে যেসব সমালোচনা হয়েছে, তার জবাব দিয়েছে তারা।

মিয়ানমারে শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে শেভরনের। জাতিসংঘ বলছে, আগস্ট মাস থেকে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে অন্য বিনিয়োগকারীদের চাপের পর শেভরন বলেছে, তারা এমন একটি বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য কাজ করতে চায় যেখানে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো হয়।

বিবিসিকে দেয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার মতো জরুরি ব্যাপারটি নিয়ে স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে যে সংলাপ চলছে শেভরন তার মূল্যায়ণ করে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে মার্কিন বিনিয়োগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। আমরা অন্য মার্কিন কোম্পানি এবং সরকারের সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবো যেন মিয়ানমারে মার্কিন বিনিয়োগের মূল্য এবং মানবাধিকারকে সম্মান করে এমন এক ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রসার ঘটানো যায়।’

শেভরন এবং বৃহৎ ফরাসি তেল কোম্পানি টোটালের সম্পদ-সমৃদ্ধ রাখাইন প্রদেশে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্প রয়েছে। তা ছাড়া মিয়ানমারের অন্যান্য এলাকাতেও প্রতিষ্ঠিত প্রকল্প আছে।

সম্প্রতি উত্তর রাখাইন অঞ্চলে মানবাধিকার লংঘন, ধর্ষণ, গণহত্যা এবং গ্রাম ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চিরও সমালোচনা হয়েছে। সু চি অক্টোবর মাসে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য একটি জরুরি অর্থনৈতিক কমিটি গঠন করেছেন।

রাখাইনে চীনেরও বড় আকারের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭২০ কোটি ডলারের একটি গভীর সমুদ্র বন্দর, এবং গ্যাস পাইপলাইন। ভারতেরও একটি কয়েকশ কোটি ডলারের পরিবহন কাঠামো রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ