1. editor@priyodesh.com : editor : Mohammad Moniruzzaman Khan
  2. monirktc@yahoo.com : স্টাফ রিপোর্টার :
  3. priyodesh@priyodesh.com : priyodesh :
রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

রাখাইনে ব্যাপক ধর্ষণে দায়ী সেনাবাহিনী : হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৬ Time View

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক ধর্ষণের ঘটনায় সেনাবাহিনীকেই দায়ী করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত তিনমাস ধরে ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধনের উদ্দেশে অভিযানের নামে নারী এবং কিশোরীদের ধর্ষণ, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। খবর রয়টার্স।

এ সপ্তাহের শুরুতে রাখাইনে সেনাবাহিনীর ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিষয়ে নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির এক রিপোর্টে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন যুদ্ধ-সংঘাতে যৌন সহিংসতা বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত প্রমিলা প্যাটেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাদের নির্দেশে, পরিকল্পনায় এবং তাদের সক্রিয় অবস্থানেই সেখানে যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী সোমবার একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে রাখাইনে সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ এবং নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সেনাবাহিনী।

গত ২৫ আগস্ট বেশ কিছু পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন, ধর্ষণের ঘটনায় সেখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে রোহিঙ্গারা।
কয়েক মাসে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৫২ জন নারী এবং কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এদের মধ্যে ২৯ জনই জানিয়েছেন, সেনারা তাদের ধর্ষণ করেছে। এদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাইকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জরুরি নারী অধিকার গবেষক এবং সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট প্রস্তুতকারী স্কি হোয়েলার বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বার্মিজ সেনাদের জাতিগত নিধনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং বিধ্বংসী বৈশিষ্ট্র ছিল ধর্ষণ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বার্মিজ সেনাদের বর্বর আচরণের কারণে অগণিত নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।

মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ধর্ষণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দেশটির সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© ২০২৫ প্রিয়দেশ