আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য আরও প্রায় ২৬ কোটি মার্কিন
ডলার ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচির অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফ অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিলেও সংস্থাটি অবশ্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে নিতে সুপারিশ করেছে।
আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ৩ বছর মেয়াদী এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মসূচি পর্যালোচনা করে অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়। এই সিদ্ধান্তের অর্থ হলো কোনোরকম দেরি ছাড়াই বাংলাদেশ ২৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ডলার পাবে।
আর এর ফলে আইএমএফের এই বিশেষ ঋণ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ৯০ কোটি কোটি ডলারের বেশী পেল।
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিৎসুহিরো ফুরুসাওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিচক্ষণ অর্থনৈতিক নীতিমালা এবং কাঠামোগত সংস্কারের ফলে গত সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগুতে পেরেছে।
তবে আরও কাঠামোগত সংস্কার চালাতে সুপারিশ করে আইএমএফ ২০১৬ সালে নতুন মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন চালু করা, জ্বালানী খাতে ভর্তুকি আরও কমানো এবং রাষ্ট্রমালিকানার ব্যাংকগুলোতে সংস্কার চালাতে বলেছে।
এর অংশ হিসেবে আইএমএফ ২০১৬ সালের মধ্যে এসব ব্যাংকের সব শাখায় অটোমেশন শেষ করার তাগিদ দিয়েছে। আর একই সাথে অবকাঠামোর ঘাটতি দূর করতে পরামর্শ দিয়ে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, এবং আরও ভালো শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার। সূত্র : বিবিসি বাংলা